নগর বিএনপি সভাপতি ও স্পোর্টস মেডিসিন স্পেশালিস্ট ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, যথেষ্ট ঘুম না হলে ক্লান্ত শরীরে ভাইরাস সহজেই আক্রমণ করতে পারে। তাছাড়া সংক্রমণ হলে তা থেকে সেরে উঠতে সময় লাগবে বেশি। কারণ ঘুম কম হলে দেহের প্রতিরোধকারী হোয়াইট ব্লাড সেল ঠিক মত এন্টিবডি উৎপন্ন হতে পারেনা।
সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসব তথ্য জানান। এ দুর্যোগের মাঝে টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
তিনি এ রমজানজুড়ে নিজস্ব ফেসবুক পেইজ (https://www.facebook.com/DrShahadatBNP/) থেকে রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ সেবা চালিয়ে যাবেন বলে জানান।
তিনি ফেসবুকে লাইভে বলেন, ঘুমের সময় শরীর উৎপন্ন করে কিছু প্রোটিন, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সাহায্য করে। সুতরাং যথেষ্ট ঘুম হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই কারণে, তিনি উদ্বেগ উৎকণ্ঠা থেকেও দূরে থাকতে বলেন। দুশ্চিন্তা গভীর হলে মাত্র ৩০ মিনিটে ইমিউন প্রতিক্রিয়া দুর্বল হয়ে যায়। অবিরাম মানসিক চাপ আরও বড় সমস্যা। তাই দুশ্চিন্তা কমাতে হবে। এ ক্ষেত্রে নামাজ, মেডিটেশন, বা মনোরগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। লকডাউনের কারণে বাইরে বের হতে না পারার কারণে অনেকের ব্যায়াম করা থেমে গেছে। এটা হতে দেওয়া যাবেনা। ব্যায়াম করে সুস্থ সবল শরীর তৈরি করে রাখতে হবে যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এ ক্ষেত্রে বাসায় হালকা ব্যায়াম করারও পরামর্শ দেন তিনি। একইসঙ্গে বারান্দায় গিয়ে শরীরে রোদ লাগানোও উচিৎ বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, রোদ ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে। যা দরকার সুস্থ রক্ত-কনিকার জন্য, যা আমাদের ইমিউন সিস্টেম সবল করে। এ ভিটামিন পাওয়া যাবে পাওয়া যাবে ডিম ও তৈলাক্ত মাছও। এছাড়া লেবুর রস ও টক খাবারে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে উপকারী।
এদিকে তাজা সবজি, বীজ বাদাম থেকে আসে জিঙ্ক, বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, ই। উদ্ভিজ খাবার আশে ভর্তি, যা মেদ কমাতে সহায়ক। ফল, শাক-সবজি খেলে সবল হয় দেহ প্রতিরোধ। তবে তৈলাক্ত খাবার জীবাণু রোধী কোষ শ্বেত-কণিকার (হোয়াইট ব্লাড সেল)কার্যকারিতা রোধ করে। তাই ভাজা পোড়া খাবার বাদ দিতে হবে। তিনি ডায়েটে চিনিও কমানো উচিৎ বলে মন্তব্য করেন।