‘লকডাউন কিছুটা শিথিলের ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খেটে খাওয়া মানুষের জীবিকা রক্ষা, মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় সম্ভবত বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। সেই কারণে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির অন্যান্য নেতারা সরকারের এসব পদক্ষেপের সমালোচনা করছেন।’
বুধবার (২০ মে) দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রায় দেড় হাজার ইমাম-মুয়াজ্জিনের মাঝে ইফতার ও ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর আমাদের মসজিদগুলোতে সীমিত সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে নামাজ আদায় করা হতো। শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখে মানুষ যাতে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে পারেন সেজন্য লকডাউন কিছুটা শিথিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশের আলেম ওলামাদের কথা চিন্তা করে দেশের প্রায় সবগুলো কওমি মাদরাসায় ইতোমধ্যে সরকারি অনুদান দিয়েছেন। লকডাউন পরিস্থিতিতে যাতে আলেম ওলামাদের অসুবিধা না হয় সেটি মাথায় রেখে তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের মাঝে এসব ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এনএনকে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারসহ উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা অংশ নেন।