পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলে তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। তবে দ্বিতীয় দফায় এটি বাংলাদেশে তাণ্ডব চালাতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, ঘূর্ণিঝড় যখন সাগর থেকে উপকূল অতিক্রম করে স্থলভাগে প্রবেশ করে, কিছু সময় তাণ্ডব চালানোর পর নিরব হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর আবারও তাণ্ডব শুরু করে।
তিনি বলেন, বিকেল ৪টার দিকে আম্ফান তাণ্ডব শুরু করেছে। এটি ৪ ঘণ্টা স্থায়ী থাকতে পারে। কিছুক্ষণ নিরব থেকে রাত ৮টার পর আবারও তাণ্ডব শুরু করতে পারে।
প্রথম তাণ্ডবের পর অনেকে মনে করতে পারেন ঘূর্ণিঝড় শেষ হয়ে গেছে। এজন্য সবাই নিরাপদ জায়গা থেকে বের হতে পারেন। তখন যদি দ্বিতীয় দফা ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয় হাতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় নিরব হলেও কয়েক ঘণ্টা ঘরে থাকার পরামর্শ দেন আবুল কালাম মল্লিক।
এর আগে বিকেল ৪টার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও সুন্দরবন উপকূল দিয় বাংলাদেশ অতিক্রম শুরু করে আম্ফান। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার রয়েছে।
আম্ফানের কারণে সকালে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ (নয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ (নয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিমাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০-১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।