পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়ে গেছে। বাড়িঘর, নদী বাঁধ ভেঙে গেছে, ক্ষেত ভেসে গেছে। উৎকণ্ঠা নিয়ে এসব তথ্য জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বলেন, ‘দুই ২৪ পরগনাই ধ্বংস হয়ে গেছে…বাড়িঘর, নদী বাঁধ ভেঙে গেছে, ক্ষেত ভেসে গিয়েছে। তখনও পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে বলেও জানান তিনি।
এসময় বক্তব্যে বার বার মমতা বলছিলেন, রাজ্যের সর্বনাশ হয়ে গেল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সুন্দরবনে আছড়ে পড়ার পর দক্ষিণে তাণ্ডব চালিয়ে যখন উত্তর ২৪ পরগনায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়, সেই সময় রাত ৯টা নাগাদ নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সারাদিনই নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে ঝড়ের গতিপ্রকৃতির খোঁজখবর রাখছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, বাসন্তী, কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর, ভাঙড় থেকে যা খবর এসেছে তা ভয়াবহ। খারাপ খবর উত্তর ২৪ পরগনা থেকেও। তবে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত সবিস্তার তথ্য পেতে ৩-৪ দিন লেগে যাবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, দক্ষিণবঙ্গ প্রায় ৯৯ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে। একটা ডিজাস্টার হয়েছে, আমরা শকড। আমরা খুবই স্তম্ভিত, খুব খারাপ লাগছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মমতা বলেন, কেন্দ্রের কাছে আবেদন থাকবে, পলিটিক্যালি দেখবেন না, মানবিকভাবে দেখুন। বিদ্যুৎ নেই, জল নেই, পুকুর, চাষের জমি সব শেষ।
ধ্বংসের হাত থেকে উন্নয়নের পথে আবার সবাইকে শামিল করে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন মমতা।
তিনি বলেন, কত যে বাড়ি, নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে, খেত থেকে সব সর্বনাশ হয়ে গেছে। সংখ্যাটা এখুনি বলা যাবে না, ১০-১২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। গোটা ধ্বংসের চিত্র বুঝতে ১০-১২ দিন লেগে যাবে, এক দিনে কিচ্ছু হবে না।