করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ব্যবহারকারীদের বিদ্যুৎ বিলে কম-বেশি বা অসামঞ্জস্য থাকলে তা পরের মাসে সমন্বয় করার ঘোষণা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ জন্য ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট ঠিকানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২৩ মে) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
‘বিদ্যুৎ বিল সমন্বয় নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের মতামত’ প্রকাশ করে এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কোনো কোনো গ্রাহকের মধ্যে কিছু বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে- সম্মানিত বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মহামারি করোনার বিস্তার রোধে বর্তমানে অনেক গ্রাহকের আঙ্গিনায় সরেজমিন গিয়ে মিটার রিডিং নিয়ে বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত করা হচ্ছে না।দেশের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বাধ্যবাধকতার ফলে গ্রাহক এবং বিদ্যুৎকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের আগের মাসের অথবা পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের বিলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিল দেওয়া হচ্ছে।
প্রাক্কলিত বিলের সঙ্গে গ্রাহকের প্রকৃত বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ কম/বেশি অথবা কোনো অসামঞ্জস্য দেখা দিলে পরবর্তী মাসের বিলের সঙ্গে তা সমন্বয় করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ব্যবহৃত বিদ্যুতের বেশি বিল গ্রাহককে পরিশোধ করতে হবে না। সরকার ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণ রোধে গ্রাহকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাসুল মওকুফ করেছে। ফলে কোনো প্রকার বিলম্ব মাসুল ছাড়াই ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল ২০২০-এর বিল আগামী ৩০ জুন ২০২০-এর মধ্যে পরিশোধ করা যাবে।
বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কারো জিজ্ঞাসা /অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকে বিল পরিশোধের পাশাপাশি সুবিধা অনুযায়ী বিকাশ, নিজস্ব বুথ বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিল পরিশোধের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’