এবার ঘরে থেকেই ঈদ উল ফিতর উদযাপন করার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। একই সঙ্গে তিনি নগরবাসীকে ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তিনি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নগরবাসীর প্রতি এ অনুরোধ জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জনাব সুজন বলেন রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস মাহে রমজান। তাকওয়া অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণের মাস হলো এই রমজান। তাই আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআন কারিমে বলেছেন: হে মুমিনগণ! তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি; আশা করা যায় যে তোমরা তাকওয়া অর্জন করবে। আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইতোমধ্যে ইফতারের মধ্য দিয়ে ২৯টি রোজা সম্পন্ন করেছি। আর আগামীকাল পবিত্র ঈদ উল ফিতর। প্রতিবছর এ সময়ে ঈদ উল ফিতরকে কেন্দ্র করে চারিদিকে সাজ সাজ রব লেগে থাকতো। বড় বড় শপিংমল এবং বিপণীকেন্দ্রগুলো ক্রেতাদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠতো। কিন্তু আজ চারিদিকে এক বিশাল নিস্তব্ধতা।
মানুষ আজ জীবন মৃত্যুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে এক কঠিন সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছে। যে সংগ্রাম বেঁচে থাকার সংগ্রাম। তাই এবারের ঈদটি সমগ্র মুসলিম উম্মার কাছে এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণে এখন হটস্পট আমাদের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। এই ঈদে চট্টগ্রামবাসীর সবচেয়ে বড়ো দুঃখ ব্যাপক সংক্রমণের সামনে স্বল্পসংখ্যক চিকিৎসাসেবা। বিভিন্ন কথা এবং কতৃত্বের আড়ালে আমাদের জনগনের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকারটা চাপা পড়ে গেছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রামে জীবন ও জীবিকার তাগিদে লাখো লাখো মানুষের বসবাস। অথচ বর্তমান সময়ে মানুষের প্রয়োজনীয় আইসিইউ কিংবা ভেন্টিলেটর সুবিধা একেবারেই নগণ্য।
প্রতিদিন আইসিইউ কিংবা ভেন্টিলেটরের অভাবে মহামূল্যবান প্রাণ অকালে ঝড়ে যাচ্ছে। তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার নাই রোগীর স্বজনদের। সংক্রমণের ঝুঁকি আর অপ্রাপ্তি নিয়ে নগরবাসী এবারের ঈদ উদযাপন করবে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন আমাদের প্রচুর সম্পদ রয়েছে কিন্তু চিকিৎসা নেই এই হাহাকার নিয়ে নগরবাসী এবারের ব্যতিক্রমী ঈদটি উদযাপন করবে। তারপরও জনগণের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার চরম দুঃসময়ে যারা ক্ষুদ্রতম সামর্থ্য নিয়েও জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জনাব সুজন। বিশেষ করে বাংলাদেশ পুলিশ, র্যা ব, সেনাবাহিনী, বিজিবি, প্রশাসন, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, পেশাজীবী এবং সর্বস্তরের সমাজকর্মীদের এ দুর্যোগে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
জনাব সুজন নগরবাসীকে ঈদ উদযাপন কিংবা বিনোদনের নামে ঘর থেকে বাহির না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।