বিশ্বজুড়ে প্রলয় সৃষ্টিকারী আণুবীক্ষণিক জীব করোনাভাইরাসকে বলা হচ্ছে ‘অদৃশ্য ঘাতক’। এর চেয়ে ভয়ঙ্কর আর কী হতে পারে? এটি এমন একটি প্রাণঘাতি মারণাস্ত্র যা আমরা চোখে দেখতে পাই না। তবে করোনা নিয়ে মজার ঘটনাও আছে।
করোনাভাইরাস পুরুষ নাকি স্ত্রী? সেটা নিয়ে বেশ ধন্দে পড়েছেন ফরাসিরা। কোভিড-১৯ আসলে পুরুষবাচক নাকি স্ত্রীবাচক? করোনার আগে ‘লো’ বসবে, নাকি ‘লা’? তাই নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছেই।
অন্য ভাষা হলে সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। কারণ বাংলাসহ পৃথিবীর প্রায় ভাষাতেই নিউট্রাল জেন্ডার রয়েছে। তবে ফরাসি ভাষার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আলাদা। জেন্টার নিউট্রাল শব্দ হাতে গোণা। তবে শেষমেশ ফরাসি ভাষার দেখাশোনা করা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে ‘করোনা’ আসলে স্ত্রীবাচক শব্দ। তাই কেভিড শব্দের আগে ফরাসিরা এখন থেকে ‘লা’ যুক্ত করবে।
ফরাসি ভাষায় স্ত্রীবাচক শব্দের আগে ‘লা’ বসে। পুরুষবাচক শব্দের আগে ‘লো’ এবং বহুবচনের ক্ষেত্রে ‘লে’। তবে এর আগে ফরাসিদের একাংশ বলছিল, ‘কভিড’ পুরুষবাচক শব্দ তাই করোনাও পুরুষ হবে। পুরুষবাচক শব্দ হিসাবে এতদিন অনেকেই কভিড শব্দের আগে ‘লো’ বসাতেন।
কিন্তু একাডেমি ফ্রঁসেজ জানিয়েছে আসলে ‘কভিড’ শব্দটি স্ত্রীবাচক। একাডেমি ফ্রঁসেজ হচ্ছে ফরাসি ভাষার রক্ষক সংস্থা। ফরাসী ভাষায় যাতে ইংরেজি বা অন্য কোনও ভাষার আধিপত্য ও প্রভাব না বাড়ে তারা সেটাই দেখাশোনা করে। তারা এই সংকটের সময়েও কভিড— এর লিঙ্গ নির্ধারণ নিয়ে ব্যস্ত হয়েছেন।
বেশিরভাগ ফরাসি ‘উইকেন্ড’ শব্দের আগে ‘লো’ ব্যবহার করেন। কিন্তু একাডেমি ফ্রঁসেজ তার বিরোধী। তাদের দাবি, লিখতে হবে আসলে ‘লা ফা দে সিমেন’। যার মানে সপ্তাহের শেষ।
এই সংস্থা ফরাসিদের ‘উইকেন্ড’ শব্দটি ব্যবহার করতেও বারণ করেছে। কারণ সেটি ইংরাজি শব্দ। আর ইংরাজি শব্দের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে ফরাসিতে। একাডেমি ফ্রঁসেজ— এর সদস্য় সংখ্যা ৪০ জন। তারাই অনেক বিচার বিবেচনা করে জানিয়েছেন, লো কোভিড-১৯ নয়, লা কোভিড-১৯ উচ্চারণ করতে হবে ফরাসিদের।