বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের রাজগুরু কেন্দ্রীয় বিহারে নবনিযুক্ত নবম বিহারাধ্যক্ষ উঞানাসিগি (জ্ঞানপ্রিয়) মহাথের বৌদ্ধ ভিক্ষুকে রাজকীয় আয়োজনে বরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ২৮ মে) সকালে বিহারে তিনি অভিষিক্ত হন।
বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা জানায়, গত ১৩ এপ্রিল বিহারের প্রধান অধ্যক্ষ উপঞ্ঞাজোতা মহাথের (উচহ্লা ভান্তে) মৃত্যুর পর রাজগুরু কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের প্রধান ভিক্ষুর পদটি শুন্য হয়। বিহারের প্রধান ভান্তের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজালের পর প্রাচীন বিহারের প্রায় তিনশ বছরের পুরনো একটি বুদ্ধপূর্তি চুরির শঙ্কায় সীলগালা করা হয়।
এদিকে বৌদ্ধ বিহারের মন্দির পরিচালনা কমিটির মধ্যে তৈরি হয় দ্বন্দ্ব। কিন্তু পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, আঞ্চলিক পরিষদ এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরিু ভিক্ষু পরিষদের সমন্বয়ে বিহারের দায়িত্ব প্রথাগত নিয়মনুসারের বান্দরবান বোমাং সার্কেলের প্রধান রাজার কাছে হস্থান্তর করা হয়।
উভয়ের সম্মতিতে বিহারে নবম বিহারাধ্যক্ষ হিসাবে উঞানাসিগি (জ্ঞানপ্রিয়) মহাথের বৌদ্ধ ভিক্ষুকে নবনিযুক্ত করেন বোমাং সার্কেলের ১৭তম রাজা উচপ্রু চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজা পরিবারর্গ নিয়ে বৌদ্ধ বিহারের দায়ক-দায়িকাসহ যথাযথ মর্যাদায় পঞ্চশীল গ্রহণপূর্বক ফুল ও ছোয়াই (আহার) দানের মধ্যদিয়ে নবনিযুক্ত বৌদ্ধ ভিক্ষুকে অভিষিক্ত করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিনিধি কেএস মং, রাজ পরিবার এবং বৌদ্ধ ধর্মালম্বী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় বিভিন্ন বিহারের দায়ক-দায়িকা এবং বৌদ্ধ ধর্মালম্বী শতশত নারী-পুরুষ।
বোমাং রাজা উচুপ্রু জয়নিউজকে বলেন, প্রথাগত নিয়মনুসারে যুগ পরম্পরায় রাজগুরু কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে বোমাং সার্কেলের প্রধান রাজা কর্তৃক বিহারাধ্যক্ষ নিয়োগের বিধান রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২৮ মে থেকে নবনিযুক্ত নবম বিহারাধ্যক্ষ উঞানাসিগি (জ্ঞানপ্রিয়) মহাথের বৌদ্ধ ভিক্ষুকে রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারে অধিষ্ঠিত অন্তর্বর্তীকালীন বিহারাধ্যক্ষ হিসাবে অভিষিক্ত করা হলো।