বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে নমুনা পরীক্ষাগারও। তবে তাতে সক্ষমতার কতটুকু ব্যবহার হচ্ছে তা নিয়ে রয়ে গেছে প্রশ্ন। এখন পর্যন্ত ল্যাবের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ হলেও গড়ে ৯ হাজারেই আটকে আছে দৈনিক নমুনা পরীক্ষা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করা গেলে সম্ভব এখনকার চেয়ে দ্বিগুণ নমুনা পরীক্ষা। আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ল্যাব সক্ষমতা সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে শিগগিরই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে ৩ হাজার জনবল।
মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত একমাত্র আইইডিসিআরেই সীমাবদ্ধ ছিল কোভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষা। গেল ২ মাসে সে চিত্র বদলেছে অনেকটাই। ল্যাবের সংখ্যা অর্ধশত ছুঁই ছুঁই। বেড়েছে নমুনা পরীক্ষার হারও।
কিন্তু পরীক্ষার এ হার পর্যাপ্ত কি-না বা ল্যাব সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার হচ্ছে কি-না, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২২ নম্বরে থাকলেও জনসংখ্যা অনুপাতে পরীক্ষার তালিকায় দেড়শ’তে। আর মোট নমুনা পরীক্ষার দিক থেকে আছে ৪৪ নম্বরে।
বর্তমানে ৪৮ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা থাকলেও ১০ হাজারের ঘরে পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ৪ দিন। আর সে জন্য বার বার বলা হচ্ছে লোকবল সংকটের কথা।
আইইডিসিআর উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন বলেন, এখনও পুরোপুরি সক্ষমতা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তার কারণ দক্ষ জনবল দরকার। এছাড়া লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার।
কয়েকদিনের মধ্যেই পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা পঞ্চাশ ছাড়াবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পর্যাপ্ত কিট সরবরাহ আর সক্ষমতার সবটুকু ব্যবহার করতে পারলে এসব ল্যাবে দৈনিক ২০ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা সম্ভব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক বে-নজীর আহমেদ বলেন, অসংখ্য লোককে আনতে হবে। এর মধ্যে আছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ল্যাবরেটরি মেডিসিন স্পেশালিষ্ট।
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যে মডিকুলার ল্যাব আছে সেখানকার স্পেশালিস্টদের যদি যুক্ত করা যায় তাহলে ৫০ ল্যাব ৪ শিফটে চালানো সম্ভব। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন ৫০ হাজার টেস্ট করানো যেতে পারে।’
যদিও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান বলছে, পরীক্ষা বাড়াতে নমুনা সংগ্রহে বুথের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।