লক্ষ্মীপুরের পিয়ারাপুর, আবিরনগর ও কুমিদপুর এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টি ও বাতাসে লণ্ডভণ্ড হয়েছে চার শতাধিক গাছপালা ও অর্ধশত ঘরবাড়ি। এসময় ঝড়ে আহত হয়েছেন ৫ জন। আহতদেরকে বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তাণ্ডব ঘটে।
পিয়ারাপুর এলাকার মৃত মনতাজ ভূঁইয়ার ছেলে মো. ওসমান জয়নিউজকে বলেন, হঠাৎ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে একটি ঝড় আসে। ঝড়ে তাদের থাকার ঘরটি ধুমড়ে মুছড়ে যায়। ঘরের টিনের চালা উড়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ও গাছের মাথায় আটকে থাকে। করোনা ভাইরাসের কারণে দু’মাস ধরে দোকানপাট বন্ধ রাখায় নগদ টাকা ভেঙে খাওয়াসহ এখন ঝড় এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।
স্থানীয়রা জানান, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সদর উপজেলার পিয়ারাপুর, আবিরনগর ও কুমিদপুর এলাকায়। বাতাসে চার শতাধিক গাছপালা ও অর্ধশত বাড়ির ছাউনি উড়ে গিয়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে ঘরবাড়ি। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে দেড় শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়িও পড়ে গেছে।
দ্রুত এসব এলাকায় সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তাসহ জরুরি ভিত্তিতে বিদুৎতের খুঁটি স্থাপনসহ ভেঙে যাওয়া বিচ্ছিন্ন সংযোগের খুঁটি মেরামত করে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের দাবি জানান তারা।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল জয়নিউজকে বলেন, ঝড়ে সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় গাছপালাসহ শতাধিক কাঁচাঘর বাড়ি পড়ে যায়। তবে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিরুপণ শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।