পানি সরবরাহ প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ওয়াসায় ঝেঁকে বসেছে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস। এ নিয়ে কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মাঝে বাড়ছে ব্যাপক উদ্বেগ। ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহসহ একাধিক কর্মচারী।
ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (ফেস ২) নির্মাণাধীন প্রকল্পে প্রথমে নির্মাণ ঠিকাদারের শ্রমিকদের মাঝে এক সপ্তাহ আগে করোনার লক্ষণ দেখা গেলে নমুনা পরীক্ষার পর চার শ্রমিকের করোনা পজিটিভ আসে। এতে ফেস ২ নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে বন্ধ করে দেওয়া হয় ওয়াসার নতুন প্রকল্প বোয়ালখালীর ভান্ডালজুরি নির্মাণকাজ।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সহকারী প্রকৌশলী ইফতেখার উল্লাহ মামুন। আর জ্বরসহ নানা লক্ষণ দেখা যাওয়া সত্ত্বেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন- সহকারী প্রকৌশলী মো. ছাদেক উদ্দিন চৌধুরী, সহকারী প্রকৌশলী আতিয়ার রহমান, সহকারী প্রকৌশলী সাহাবউদ্দিন, উপসহকারী প্রকৌশলী আবু ইউসুফ তফাদার ও উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম।
এদিকে জ্বরসহ নানা উপসর্গ নিয়ে বাসায় অবস্থান করছেন ওয়াসার ভারপ্রাপ্ত রাজস্ব কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম। একইসঙ্গে ওয়াসার শ্রমিক লীগ নেতা (১০০৮) তাজুল ইসলাম অসুস্থতার কারণে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ইতোমধ্যে ওয়াসার কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর আত্নীয় করোনায় মারা গেছেন। অনেকে তাদের সান্নিধ্যে যাওয়ার পর করোনা লক্ষণ দেখা দেওয়ায় অফিসে না এসে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চট্টগ্রাম ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) গোলাম হোসেন জয়নিউজকে বলেন, আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয় বাসায় আছেন। উনার করোনা রিপোর্ট এখনও আসেনি। তবে করোনার লক্ষণ থাকাতে তিনি বাসায় রয়েছেন। তবে অন্য কেউ করোনায় পজিটিভ কি-না এই মূহুর্তে আমার জানা নেই।