করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১ জুন) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় (সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ) সচিব ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন। নোটিশে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের অধিকাংশ কর্মহীন হয়ে বেকার এবং মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আর সরকার সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে অসহায় ও দুস্থদের করোনাকালীন বিপর্যয় রোধের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন ভাবে খাদ্য সহায়তা এবং নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে।
করোনায় কর্মহীন এবং বেকার হয়ে পড়া নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষ এবং অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল মানুষের জীবন ও জীবিকার বিষয়টি বিবেচনা করে এবং জাতীয় অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য সরকার সীমিত পরিসরে সরকারি, বেসরকারি অফিস কল-কারখানা সাময়িকভাবে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আর দীর্ঘদিন লকডাউন থাকা কর্মহীন বেকার লাখ লাখ মানুষ তাদের জীবন এবং জীবিকার আশায় সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে কর্মে যোগদান করে তাদের পরিবারের সদস্যদের মুখে দু মুঠো অন্ন জোগানোর জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
অথচ সেই করোনা পরিস্থিতিতে এসে সরকারের জাতীয় সড়ক এবং মহাসড়ক বিভাগ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি বাস-মিনিবাসের ক্ষেত্রে ৬০% ভাড়া বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যা করোনায় অসহায় দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের আরও বেশি বিপর্যস্ত ও হতাশাগ্রস্ত করেছে।
নোটিশে আরও বলা হয়, যেহেতু বর্তমানে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম সর্বনিম্নে পৌঁছেছে সেহেতু অতিরিক্ত ভাড়া না বাড়িয়ে বিশ্ববাজারে থেকে কম মূল্যে তেল সংগ্রহ করে বিকল্প পন্থায় বাস মালিকদের যে বর্ধিত চাহিদা উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তৈরি হয়েছে, তা সমন্বয় করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
তাই নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন স্থগিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় জনস্বার্থে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।