এখনই হচ্ছে না চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন। এছাড়া তিন সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনের সিদ্ধান্তে ইসি সচিবালয়ের কাছে প্রস্তাবনা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (১ জুন) বিকেল ৩টা ইসি সচিবালয়ের সভাকক্ষে এক বৈঠকে এ প্রস্তাবনা চাওয়া হয়। ৬৩তম কমিশন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
গত ২৯ মার্চ চসিকের সাধারণ নির্বাচন, যশোর-৬ এবং বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ভোটগ্রহণের সপ্তাহখানেক আগে তা স্থগিত করা হয়।
এদিকে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিনদিন বাড়ছে। এই অবস্থায় ভোটের আয়োজন করা সম্ভব কি-না, তা নির্ভর করবে পরিস্থিতির উন্নতির ওপর।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, আইন অনুযায়ী নির্বাচনের সব সময়সীমা পার হয়ে গেলে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ব্যাখ্যা নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। যদিও সিইসি ইতোমধ্যে বলেছেন, তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে প্রয়োজনে ব্যাখ্যা নেবেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো সরকারের। তাই চসিকসহ অন্যান্য নির্বাচন সরকার যখন চাইবে, তখন করবে ইসি। তারপরও সব নির্বাচনের পর্যালোচনামূলক প্রস্তাবনা নথিতে দিতে বলেছে ইসি। সে অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনকি পরবর্তী বৈঠকের কোনো তারিখ দেননি কমিশন। নথিতে প্রস্তাবনা দিলে, সে অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন কমিশন।
প্রসঙ্গত, বগুড়া-১ আসনটি শূন্য হয় ১৮ জানুয়ারি এবং যশোর-৬ শূন্য হয় ২১ জানুয়ারি। সে অনুযায়ী সংবিধানে প্রদত্ত নব্বই দিন সময় পার হয়ে গেছে। দ্বৈব দুর্বিপাকজনিত নব্বই দিন সময় বর্তমানে সিইসির হাতে আছে। অর্থাৎ, আসনশূন্য হওয়ার মোট ১৮০ দিন সময়ও পার হয়ে যাবে জুলাই মাসে। এক্ষেত্রে বগুড়া-১ আসনে ১৫ জুলাই এবং যশোর-৬ আসনে ১৮ জুলাই ভোটের সময় শেষ হবে।
আর সাবেক সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুর কারণে গত ২ এপ্রিল শূন্য হয় পাবনা-৪ আসন। এ আসনে উপ-নির্বাচন করতে হবে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে। সিইসির হাতে থাকা আরো নব্বই দিন যোগ করলে এ নির্বাচন সম্পন্ন করার সময় রয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।