প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান পঙ্গপালের হানায় নাস্তানাবুদ। স্বাভাবিকভাবে এনিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার অবকাশ রয়েছে বাংলাদেশেরও।
গবেষণা বলছে, মরু পঙ্গপালের একটি ঝাঁকের বিস্তার কয়েকশ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। একটি প্রাপ্তবয়স্ক পঙ্গপাল নিজের ওজনের সমান (২ গ্রাম) শস্য একদিনে খেয়ে শেষ করতে পারে। এক বর্গ কিলোমিটার এলাকাব্যাপী পঙ্গপাল যে পরিমাণ ফসল নষ্ট করে, তা দিয়ে ৩৫ হাজার মানুষকে এক বছর খাওয়ানো যায় ।
তবে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আশ্বস্ত করছে, এ নিয়ে আপাতত বাংলাদেশের চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।
সংস্থাটি বলছে, মৌসুমী বায়ু অনুকূলে থাকবে না, তাই এ বছর বাংলাদেশে পঙ্গপাল আসার সম্ভাবনা নাই।
বিশ্বজুড়ে পঙ্গপালের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে এফএও। একইসঙ্গে দেশগুলোকে এ বিষয়ে সতর্কও করছে। তাদের সর্বশেষ পর্যবেক্ষণে জানায়, রাজস্থানে থেকে পঙ্গপালের ঝাঁক মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে যেতে থাকবে। আরো কয়েকটি ঝাঁক রাজস্থানে ঢুকতে পারে জুলাই পর্যন্ত। এরা বাতাস অনুকূলে পেয়ে বিহার ও উড়িস্যাতেও পৌঁছে যেতে পারে।
এরপর মৌসুমি বায়ূ দিক বদলাতে শুরু করলে এরাও রাজস্থানের দিকে ফিরে আসবে। ওই সময় তাদের প্রজণনের সময় হবে এবং চলাচল থেমে যাবে। ফলে দক্ষিণ ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা পঙ্গপালের খুব একটা নাই।
উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পঙ্গপাল শুষ্ক আবহাওয়া পছন্দ করে। এদেশের আবহাওয়া আর্দ্র ও শুষ্ক। তাই এ দেশে পঙ্গপালের আক্রমণের সম্ভাবনা কম।
বিগত ৪৯ বছরে দেশে পঙ্গপালের কোন আক্রমণ হয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সতর্ক এবং প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তবে এবছর তেমন ঝুঁকি না থাকলেও আগামী বছরের জন্য সতর্ক হতে হবে বাংলাদেশকে।
জয়নিউজ/পিডি