কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ (কমেক) ল্যাবে নমুনা জট দেখা দিয়েছে। সক্ষমতার বেশি নমুনা আসায় করোনা পরীক্ষার জট লেগেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে এক সপ্তাহের বেশি সময় অপেক্ষা করেও মিলছে না করোনা রিপোর্ট। এতে সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি নমুনা দেওয়া লোকজনসহ তাদের স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, কমেক ল্যাবে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু কক্সবাজার ও বান্দারবান জেলাসহ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া উপজেলা থেকে দিনে ৭০০-এর অধিক নমুনা আসে। যার কারণে পরীক্ষা ছাড়া পড়ে থাকে শতশত নমুনা। এছাড়া ল্যাব সংশ্লিষ্ট দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে কমেক হাসপাতালে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জয়নিউকজকে বলেন, করোনা পরীক্ষার জট কমাতে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা সীমিত। ইতোমধ্যে পরীক্ষা বাড়াতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন পত্র জমা দিয়েছি। রোহিঙ্গা ক্যাম্প, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া ও বান্দারবানের স্যাম্পল সংযুক্ত হওয়ায় জট বেড়ে গেছে। এখানে প্রায় ২ হাজার জনের স্যাম্পল জমা পড়ে আছে।
এসময় তিনি বান্দারবান, সাতকানিয়া-লোহগাড়ার স্যাম্পলগুলো আগের মতো চট্টগ্রামে পরীক্ষা করা হলে নমুনা জট কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।