করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় কক্সবাজার পৌরসভাসহ জেলার কয়েকটি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই অবস্থায় আগামী ২০শে জুন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
শুক্রবার (৫ জুন) করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কক্সবাজারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসেন এই নির্দেশনা জারি করেন।
নির্দেশনাগুলো হলো-
ক. সকল প্রকার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক গণজমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। সকল জনসাধারণ আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ আবাসস্থলে অবস্থান করবে।
খ. সকল ব্যক্তিগত ও গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বহনকারী হালকা ও ভারি যানবাহন রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি গাড়ি চলাচলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি লাগবে। অ্যাম্বুলেন্স, রোগী পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যত্তিবর্গের (অনডিউটি) পরিবহন, কোভিড ১৯ মোকাবিলা ও জরুরি সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের গাড়ি এর আওতার বাইরে থাকবে।
গ. সকল প্রকার দোকান, মার্কেট, বাজার, হাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কেবল রোববার ও বৃহস্পতিবার কাঁচাবাজার ও মুদি দোকান স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ওষুধের দোকান এর আওতার বাইরে থাকবে।
ঘ. কোভিড-১৯ মোকাবেলা ও জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খোলা থাকবে। কেবলমাত্র রোববার ও বৃহস্পতিবার ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে। সকল হাসপাতাল, চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও কোভিড ১৯ মোকাবিলায় পরিচালিত ব্যাংকিং সেবা প্রদানের আওতার বাইরে থাকবে।
ঙ. জরুরি সংবাদ সংগ্রহের জন্য নির্বাচিত সংবাদকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের রেড জোনে কাজ করার জন্য বিশেষ পরিচিতিপত্র থাকা সাপেক্ষে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে।
চ. সকল প্রকার গণপরিবহন টার্মিনাল রেড জোনের বাইরে স্থানান্তর করতে হবে।
ছ. প্রকাশ্য স্থানে বা গণজমায়েত করে কোনো প্রকার ত্রাণ, খাদ্যসামগ্রী বা অন্য কোনো পণ্য বিতরণ করা যাবে না।