চট্টগ্রামে জাতীয় পার্টি মানে সোলায়মান আলম শেঠ। তার যেমন রয়েছে সাংগঠনিক দক্ষতা, তেমনি রয়েছে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা। আর কর্মীদের সুখে-দুঃখে ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো মানবিক গুণের অধিকারী তিনি। শুধু নগর নয়, তিলতিল করে তিনি পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চলে জাতীয় পার্টিকে দাঁড় করিয়েছেন মজবুত ভিতের ওপর। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ শেঠ জাতীয় পার্টির কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছেন।
তিনি জয়নিউজকে বলেন. একটা সময় এই নগরে জাতীয় পার্টির অবস্থা খুবই দুর্বল ছিল। বলতে গেলে নড়বড়ে ভিত্তির উপর চলছিল পার্টি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর চট্টগ্রাম জাতীয় পার্টিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। দিন-রাত পরিশ্রম করেছি। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ঘরে ঘরে গিয়ে পার্টির কর্মী সৃষ্টি করেছি। নগরীর প্রতিটি থানা এবং ওয়ার্ডে কমিটি করে নেতৃত্ব সৃষ্টি করেছি। পার্টির নেতা-কর্মীদের আপদে-বিপদে, সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমার অক্লান্ত পরিশ্রমে চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টি আজ মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
সোলায়মান আলম শেঠ কমার্স কলেজে অধ্যয়ন করার সময় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বলেন, কিশোর বয়স থেকেই মানুষের জন্য কাজ করে চলেছি। মানুষের জন্য কাজ করতে করতে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ি। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সরকারি কমার্স কলেজে অধ্যয়নের সময় দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলাম। চট্টগ্রামের স্বার্থসংশ্লিষ্ট দাবি-দাওয়া আদায়ে রাজপথে সোচ্চার ছিলাম।
তিনি বলেন, নব্বইর দশকে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের বিশেষ অনুরোধে এবং তার উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় হই। তারপর চেয়ারম্যান স্যার (এরশাদ) যোগ্যতা মূল্যায়নে আমাকে পার্টির নগর আহ্বায়ক, সভাপতি, সেন্ট্রাল ভাইস চেয়ারম্যান, তিন পার্বত্য জেলার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলার সমন্বয়কারীর গুরুদায়িত্ব প্রদান করেন। আমি নিজের সর্বোচ্চ মেধা ও শ্রম দিয়ে পার্টির জন্য কাজ করেছি। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি (এরশাদ) আমাকে পার্টির সর্ব্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়াম সদস্য মনোনীত করেন। সে দায়িত্ব আজো আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছি। পাশাপাশি আমার কাঁধে নগর সভাপতির দায়িত্বও দিয়েছেন মাননীয় চেয়ারম্যান।
গত জানুয়ারিতে পুনরায় দায়িত্ব পাওয়ার পর শেঠ আবার নড়েচড়ে বসেছেন। ’৯০এ ক্ষমতা হারানোর পর নগর জাতীয় পার্টি স্মরণকালের সেরা শো-ডাউন দিয়েছে ৭ মার্চ। ইসলামী ফ্রন্টসহ কয়েকটি দলের সমন্বয়ে জাতীয় জোট। জোটের ব্যানারে সম্মেলন হলেও, সম্মেলনে আগাগোড়া প্রভাব ছিল জাতীয় পার্টির। তিনি সবাইকে বুঝিয়ে দিলেন, শেঠের বিকল্প নেই চট্টগ্রামে।
তার উপর আগামী জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) এবং খাগড়াছড়ি আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শেঠ।
জয়নিউজ/আরসি