প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আশা করি দেশের প্রতিটা মানুষ স্বাস্থ্যসুরক্ষার নিয়ম মেনে চলবেন। ইনশাল্লাহ, এখান থেকেও আমরা মুক্তি পাব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো।
রোববার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে এক আলোচনা সভা হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার (৭ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠানটি বিটিভিতে প্রচারিত হয় এবং রাত ১০টার মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে দেশের অন্যান্য সম্প্রচার মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রচারিত হবে।
পাকিস্তান আমলে পাকিস্তানের শোষণ-বঞ্চনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সেই বঞ্চনার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সংগ্রাম করেছেন। আর তারই পথ বেয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। কাজেই ৭ জুন যারা জীবন দিয়ে বাঙালির অধিকারের কথা বলে গেছেন আমি তাদের স্মরণ করছি। স্মরণ করছি মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়ে ধাপে ধাপে এই বাঙালিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন এবং তিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়ে গেছেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, প্রতিটি অর্জন রক্তের বিনিময়ে আমাদেরকে পেতে হয়েছে। শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। এটা বৃথা যেতে পারে না, যায় না। আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে আমাদের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করা হয়েছিল।
‘২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারে আসে। সরকারে আসার পর আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছিলাম তার ফলে আজকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নত হয়েছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাস নামে একটি ভাইরাস এসে আজকে সকলের জীবনযাত্রা স্থবির করে দিয়েছে এটা শুধু বাংলাদেশ না সকল বিশ্বব্যাপী এই সমস্যাটা।’
আমি আশা করি, আমাদের দেশের প্রতিটা মানুষ স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনে চলবেন। ইনশাল্লাহ এখান থেকেও আমরা মুক্তি পাব বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।