করোনাভাইরাসের সংক্রমণের নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ এখন পর্যন্ত চিকিৎসকদের হাতে আসেনি, তবে চলছে গবেষণা। বিশ্বের বড় বড় চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বাড়াতে পারলে কোভিড-১৯ ভাইরাসকে ঠেকিয়ে দেওয়া যায়।
ইনেট ইমিউনিটি বা শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করার অন্যতম উপায় সঠিক খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা। এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সব চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা সহমত।
গবেষণায় প্রমাণিত, নিয়মিত মাঝারি মাপের ঘাম ঝরানো আসন ও সকালে হাঁটলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
তবে একইসঙ্গে এটাও ঠিক যে অনেকে অতিরিক্ত জিম ও এক্সারসাইজ করেন। তা আবার ইমিউনিটি বাড়ানোর বদলে কমিয়ে দিতে পারে। নিয়মিত যোগাসন ও অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করলে শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ কমে। আসলে দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজকর্ম ও দুশ্চিন্তার ফলে আমাদের শরীরের স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন আবার ইমিউনিটি কমিয়ে দেয়।
সপ্তাহে ৫ দিন দৈনিক গড়ে ৪৫ মিনিট করে ব্যায়াম করলে এন্ডারফিন নিঃসরণ বাড়ে, ফলশ্রুতি ডোপামিনের পরিমাণও বাড়ে। এর ফলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমে যায় ও মনমেজাজ ভাল থাকে। শরীরের শ্বেতকণিকার সংখ্যা বাড়ে অর্থাৎ জীবাণুদের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। ফলে চট করে ভাইরাস বা ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণ হয় না।
নিয়মিত যোগ ব্যয়াম, হাঁটাহাঁটি ও খেলাধুলা করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ানো যায় মত বিশেষজ্ঞদের।
লকডাউনের শিথিল পর্বে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ ঠেকানোর এক অন্যতম হাতিয়ার নিয়মিত ব্যায়াম করা। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন নিয়মিত ব্যায়াম ও যোগাসন করলে ইনেট ইমিউনিটি অর্থাৎ শরীরের অভ্যন্তরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হয়।
এই বিষয়ে চিকিৎসকদের মত, নিয়মিত গা ঘামিয়ে ব্যায়াম, হাঁটা বা দৌড়ানোর একটা রুটিন করে নিলে ভাল হয়। যারা বেশি বয়সে যোগাসন শুরু করতে চান, তারা অবশ্যই এক জন চিকিৎসককে দেখিয়ে প্রেশার, ব্লাড সুগার ও হার্টের অবস্থা জেনে নেবেন। নতুনভাবে শুরু করলে কখনওই জোর করে কিছু না করাই ভাল। যতটা সয়, ততটুকুই করা উচিত। নিয়ম করে এক্সারসাইজ করলে শরীরের বিভিন্ন উপকার হয়।