পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং ও বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ভূমি কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ বান্দরবান জেলার শীর্ষ ব্যক্তিরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। সংক্রমণ রোধে মানুষের মধ্যে একধরণের জনসচেতনতা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে করোনাভাইরাসকে জয় করে কর্মস্থলে ফিরেছে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী।
শুক্রবার (১২ জুন) বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, রোয়াংছড়ি ইউএনও, ভূমি কর্মকর্তা, এনডিসি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কর্মচারী ও তাদের পরিবারসহ আরও ৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারী মিটু বড়ুয়া।
প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে বান্দরবানে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হঠাৎ করেই আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ জনে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১৬ জন। আক্রান্তের মধ্যে সদরে ৪৪ জন এবং রুমায় ছয়জন।
লকডাউনের তৃতীয়দিনে বান্দরবান পৌরসভা, সদর এবং রুমা উপজেলায় সবধরণের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল থাকলেও রাস্তায় ছিল না কোনো গণপরিবহণ। তবে খোলা ছিল ওষুধের দোকানগুলো। । প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় ফাঁকা জনমানবহীন ছিলো রাস্তা-ঘাট এবং হাট-বাজারগুলো।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা জয়নিউজকে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। পার্বত্য মন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ভূমি কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তা আক্রান্ত হওয়া তাই প্রমাণ করেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত লজিস্ট্রিকস সাপোর্ট বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগে নেই। সংক্রমণ রোধে প্রয়োজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। নিজের সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের নিজেকেই নিতে হবে। তাহলেই এ মহামারি থেকে উত্তরণ সম্ভব।
জয়নিউজ/আলাউদ্দীন/বিআর