সারা দেশে নিম্ন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে গত ২০ কার্যদিবসে নারী ও শিশুসহ ৩৩ হাজার ১৫৫ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫ দিনেই জামিন দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ৬৭৫ আসামিকে।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমানের শুক্রবার (১২ জুন) পাঠানো বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গত ১১ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত গত ২০ কার্যদিবসে ৬০ হাজার ৪১৯টি জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করে ৩৩ হাজার ১৫৫ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। এরমধ্যে গত ৩১ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত ৫ দিনে ১৪ হাজার ৩৪০টি আবেদনের নিষ্পত্তি করে ৬ হাজার ৫৪২ আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়। আর ৭ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫ দিনে ১২ হাজার ৭৬২টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে ৫ হাজার ৬৭৫ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়। এর আগে ১১ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ১০ কার্যদিবসে ৩৩ হাজার ৩১৭টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০ হাজার ৮৩৮ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গত ৭ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫ কার্যদিবসে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন আদালতে ৩ হাজার ২৯৯টি জামিনের আবেদন দাখিল করা হয়। এরমধ্যে ২ হাজার ৮৫৬টি আবেদন নিষ্পত্তি করে ১ হাজার ১৮৪ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া একই সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ হাজার ৯৮টি, রংপুর বিভাগে ১ হাজার ৬৯টি, বরিশাল বিভাগে ৫৬৮টি, রাজশাহী বিভাগে ১ হাজার ৯৩৯টি, খুলনা বিভাগে ১ হাজার ৬৩০টি, সিলেট বিভাগে ৯০২টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৯৫৩টি জামিনের আবেদন দাখিল করা হয়।
এসব আবেদনের ওপর শুনানি শেষে চট্টগ্রাম বিভাগে ২ হাজার ৯০০ আবেদন নিষ্পত্তি করে ১ হাজার ১২১ জন, রংপুর বিভাগে ১ হাজার ৭টি আবেদন নিষ্পত্তি করে ৪৩৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৫২৫টি আবেদন নিষ্পত্তি করে ২৪০ জন, রাজশাহী বিভাগে ১ হাজার ৭৯১টি আবেদন নিষ্পত্তি করে ৭৮৪ জন, খুলনা বিভাগে ১ হাজার ৫৬২টি আবেদন নিষ্পত্তি করে ৮৩৪ জন, সিলেট বিভাগে ৮৭৬টি আবেদন নিষ্পত্তি করে ৫০০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৮৭৩টি আবেদন নিষ্পত্তি করে ৪১১ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে নিয়মিত আদালত বন্ধ। এ প্রেক্ষাপটে ভার্চুয়াল আদালত চালু করতে গত ৯ মে আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ নামে গেজেট প্রকাশ করে। এই অধ্যাদেশের ক্ষমতাবলে ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে আদালতকে মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক গ্রহণ, আদেশ বা রায় দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়।
এর পরদিন ১০ মে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় সুপ্রিম কোর্টসহ সারাদেশে ভার্চুয়াল আদালত চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।