চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এ শহরের অভিভাবক প্রতিষ্ঠান। এটি নগরবাসীর প্রতিষ্ঠান। চসিকের দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা থেকে ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার করেছি।
শনিবার (১৩ জুন) বিকেলে নগরের হালিশহরের সিটি কনভেনশন হলে চসিকের আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএমএ সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, ফারহানা জাবেদ, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, আইসোলেশন সেন্টারের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সুশান্ত বড়ুয়া প্রমুখ।
মেয়র বলেন, গত ২৬ মার্চ সরকার মানুষের জীবন রক্ষার্থে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে, ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করেছে। চসিক প্রথম দিন থেকে সর্বোচ্চ সামর্থ্য অনুযায়ী নগরবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। ইতোমধ্যে তিন মাস অতিবাহিত হচ্ছে। করোনাভাইরাসটা এখনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। এটার সংক্রমণের হার পর্যায়ক্রমে বাড়ছে। ঢাকার পর চট্টগ্রাম হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
সিটি হলের স্বত্বাধিকারী সীকম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক লিখিতভাবে এ হলটি ব্যবহারের জন্য চসিককে সম্মতি দিয়েছেন। এখানে ২১০টি শয্যা রাখা হয়েছে পুরুষদের জন্য। ৪০টি শয্যা নারী রোগীর জন্য দোতলায় আলাদা কক্ষে রাখা হয়েছে।
নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, চার ধরনের করোনা পজিটিভ রোগী থাকে। এর মধ্যে ক্রিটিক্যাল রোগীদের আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর দরকার হয়। বাকিরা অক্সিজেন পেলে সারভাইভ করতে পারে। ৮০-৯০ ভাগই কম ও মৃদু উপসর্গের। দেশ ভেদে তারতম্য হয়।
তিনি বলেন, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। পরিসংখ্যান বোঝার চেষ্টা করলে আতঙ্কিত হওয়ার যৌক্তিক কারণ নেই। নগরবাসীর কাছে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করবো, আপনারা সচেতনতার পরিচয় দেবেন, সতর্কতা অবলম্বন করবেন। সরকার আপনাদের পাশে আছে।
আগামী ১৫ জুন থেকে এ সেন্টারে রোগী ভর্তি শুরু করার কথা ছিল। এর আগে হাতে-কলমে চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান, কর্মীদের ট্রেনিং শুরু হবে। এটি শেষ হলে ২-১ দিনের মধ্যে রোগী ভর্তি শুরু হবে। মেয়র সীকম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
সীকম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই সামাজিক দ্বায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এরই অংশ হিসেবে আমাদের গ্রুপের মালিকানাধীন সিটি হলকে করোনা রোগীদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে তৈরির জন্য দিয়েছি। সবাই এগিয়ে আসলে দেশকে দ্রুত করোনামুক্ত করতে পারবো।