মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর শোক কাটতে না কাটতেই আরেকটি বড় আঘাত পেলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১৩ জুন) রাতে তার বিশ্বস্ত সহকর্মী হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনার নির্বাচনি এলাকায় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল্লাহ মারা গেছেন।
শেখ আব্দুল্লাহ শুধু ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ছিলেন না বা আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন কর্মী ছিলেন না। তিনি ছিলেন শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং আস্থাভাজন ব্যক্তি। আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষেই তিনি গোপালগঞ্জে সবকিছু দেখভাল করতেন এবং প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত প্রিয়ভাজন রাজনৈতিক সহযোগী ছিলেন তিনি।
শেখ হাসিনার সমস্ত দুঃসময়ে শেখ আব্দুল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। শেখ আব্দুল্লাহ’র জন্য গোপালগঞ্জ নিয়ে শেখ হাসিনাকে চিন্তা করতে হতো না। শেখ হাসিনা তার একাধিক বক্তৃতায় এই কথাটি বলেছেন। গোপালগঞ্জের মানুষের দুঃখ কষ্ট, চাওয়া পাওয়া সবকিছু একাই সামলাতেন শেখ আব্দুল্লাহ।
শেখ আব্দুল্লাহ এভাবে চলে যাবেন এটা ভাবতেই পারেননি শেখ হাসিনা। গত রাতে তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে তিনি শোকে মূহ্যমান হয়ে ওঠেন।
করোনা সংকট গত কয়েকদিন শেখ হাসিনার জন্য এক দুঃস্বপ্নের প্রহর নিয়ে এসেছে। কিছুদিন আগেই মারা গেলেন আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর স্ত্রী সাহান আরা আব্দুল্লাহ। তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত কাছের মানুষ। এরপরই মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যু। আর সর্বশেষ শেখ আব্দুল্লাহর মৃত্যু।
গত রাতটা যেন শেখ হাসিনার এক দুঃস্বপ্নের রাত কেটেছে। নির্ঘুম রাতে শোকে পাথর আওয়ামী লীগ সভাপতি যেন ভাইদের মৃতদেহের দাফন কাফনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। শেখ হাসিনা সর্বংসহা। শোক সইবার এক অসাধারণ ক্ষমতা তার রয়েছে। তাই বলে এত শোক এক রাতে!