পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে করোনাভাইরাস পরীক্ষার নেগেটিভের ভুয়া সনদ। এরকম একটি চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া সনদপত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
বিদেশযাত্রা কিংবা যেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে যোগদানের জন্য করোনা নেগেটিভ সনদপত্র দরকার, সেসব লোকদের টার্গেট করে মুগদা জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রিক তৎপরতা চালিয়ে আসছিল চক্রটি। হাসপাতালে স্যাম্পল দিতে আসা লোকজনের কাছে বিক্রি করা হয় ভুয়া সনদপত্র। যার জন্য নেওয়া হতো ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা।
লে. কর্নেল রকিবুল হাসান বলেন, বিভিন্ন সময়ে যারা মুগদা হাসপাতালে স্যাম্পল দিতে এসেছে তাদেরকে প্ররোচিত করে এখান থেকে ভুয়া সার্ফিকিকেট দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি লোকের থেকে কিছু জানতে পারিনি।
র্যাবের দাবি, এখন পর্যন্ত চক্রটি ১৫০-২০০টি ভুয়া সনদ বিক্রি করেছে। রাজধানীজুড়ে যে কয়টি করোনা টেস্ট কেন্দ্র রয়েছে তার সবগুলোতে সক্রিয় চক্রটি।
দেশের বাইরে জাপান, দ. কোরিয়া, মালয়েশিয়ার কিছু রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। এখান থেকে ভুয়া রিপোর্ট নিয়ে গিয়ে তাদের সেখানে করোনা হয়েছে। ফলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এসব সনদপত্রে বিভিন্ন হাসপতালের নাম ব্যবহার করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো হাসপাতালের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে জানায় র্যাব।