নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে উঠা জমি দখলের অভিযোগ ইস্যুতে নিজের অবস্থান জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন মো. আলমগীর আলম নামে এক ব্যক্তি। এসময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে না পেরে তড়িঘড়ি করে চলে যান।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগে গত ৯ জুন নগরের খুলশী গার্ডেন ভিউ হাউজিং সোসাইটি (জমির সোসাইটি) মালিক এসএম জমির উদ্দিনের করা সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া তথ্যের বিপরীতে দালিলিক প্রমাণসহ সত্য উপস্থাপনের জন্য এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন বলে দাবি মহিউদ্দিন বাচ্চুর সহযোগী হিসেবে পরিচিত মো. আলমগীর আলম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. আলমগীর আলম বলেন, আমার দায়-দেনার কারণে নগদ টাকার প্রয়োজন হয়। তাই আমার দখলীয় খুলশী মৌজার আরএস ৫৫৩ দাগের অনুরূপ পিএস ১৮০ দাগের প্রায় দুই একর ভূমির আন্দর ১.৫৬ একর ভূমি এবং আকতার হোসেনের স্বত্ব দখলীয় ৩০ শতক ভূমিসহ মোট ১.৮৬ একর ভূমি আমি ও আকতার হোসেন যৌথভাবে গত ২২ জানুয়ারি ২০১৭ সালে রেজিস্ট্রিযুক্ত ১০০২ নং বায়নানামা ও আমি এককভাবে বিগত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে রেজিষ্ট্রিযুক্ত ১৩৮২১ নং বায়মামূলে মহিউদ্দিন বাচ্চুর (মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক) কাছে বিক্রির জন্য চুক্তিবদ্ধ হই।
গত ১৩ মার্চ এস এম জমির উদ্দিন, সোসাইটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে গার্ডেন ভিউ হাউজিং সোসাইটির নিজের স্বত্বীয় প্লট ও ভূমি চিহ্নিত করে মহিউদ্দিন বাচ্চুকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান আলমগীর আলম।
এ সময় সাংবাদিকরা আলমগীরের কাছে জানতে চান, এসএম জমির উদ্দিন উপস্থিত থাকলেও নিজের জায়গা বুঝিয়ে দিতে কেন নিজেই উপস্থিত ছিলেন না। জবাবে আলমগীর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এমনকি রাতের আঁধারে কেন জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে মহিউদ্দিন বাচ্চুকে, তার ব্যাখ্যাও দিতে পারেননি আলমগীর আলম।
এস এম জমির উদ্দিনের কারণে সোসাইটির বাসিন্দারা নানা সমস্যায় থাকার বিষয় লিখিত বক্তব্যে জানালেও কী কী সমস্যা হচ্ছে তা জানাতে পারেনি আলমগীর আলম।
লিখিত বক্তব্য শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকরা এসব বিষয়ে প্রশ্ন করলে আলমগীর আলম কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর না দিয়েই সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন। তারপর তিনি তড়িঘড়ি করে প্রেস ক্লাব ত্যাগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আলমগীর আলমের সঙ্গে অ্যাড. স্বপন ঘোষ ও মো. ইলিয়াস নামের দুইজন উপস্থিত ছিলেন।