বয়সে তারা প্রত্যেকে তরুণ। কেউ ছাত্র, কেউবা চাকরি করেন। তবে এখন তাদের পরিচয় একটাই, তারা সবাই এক সংগঠনের সদস্য। ৪০ সদস্যের এই সংগঠনটির নাম ‘মানবতার দল’। যাদের মূল কাজ করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দাফন ও সৎকার করা।
লোহাগাড়ার যেকোনো এলাকায় করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর পেলেই সেখানে হাজির হন মানবতার দলের সদস্যরা। বিনা পারিশ্রমিকে তারা সম্পন্ন করেন দাফনের যাবতীয় কাজ।
সংগঠনের প্রধান হিসেবে আছেন মিজানুর রহমান মিজান। তিনি জয়নিউজকে বলেন, লোহাগাড়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে দাফন করতে গিয়ে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। ছোঁয়াচে রোগ হওয়ায় কেউই লাশ দাফনে এগিয়ে আসেন না।
এমনকি অনেকে নিজ বাড়ির রাস্তা দিয়ে লাশ পর্যন্ত নিতে দেন না। এ অবস্থায় আমরা কয়েকজন মিলে উদ্যোগ নিলাম কাজটা আমরাই করবো। বর্তমানে আমাদের দলে ৪০ জন সদস্য রয়েছে। তারা দুই ভাগে কাজ করে।
সংগঠনের উপদেষ্টা ফজলে এলাহি আরজু জয়নিউজকে বলেন, বিত্তশালীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের কাছ থেকে আমরা পিপিইসহ অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী সংগ্রহ করেছি। কবরের গর্ত খনন থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ আমাদের সংগঠনের সদস্যরাই করেন। সব ধর্মালম্বীদের জন্যই আমাদের আলাদা দল রয়েছে। তবে পিপিই, মাস্কসহ কিছু সুরক্ষা সামগ্রীর অভাব রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হানিফ জয়নিউজ বলেন, লোহাগাড়ার কিছু তরুণের এ সাহসিকাতাপূর্ণ কাজ সত্যিই প্রশংসনীয়। মানবতা দলের প্রত্যেক সদস্যের স্বাস্থ্যের সুরক্ষার প্রতি আমাদের নজর রয়েছে।