মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার খুবই সীমিত পরিসরে হজ হবে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সৌদি আরবের নাগরিক এবং দেশটিতে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকরা হজে অংশ নিতে পারছেন। তাই বাংলাদেশসহ অন্যান্য সব দেশ থেকে এবার হজযাত্রা বন্ধ থাকবে।
চট্টগ্রাম হজ এজেন্সী অ্যাসোসিয়েশন (হাব) তথ্যমতে, চলতি বছর চট্টগ্রাম থেকে বেসরকারিভাবে ৬ হাজারের মতো হজে যাওয়ার নিবন্ধন করেছিলেন। সরকারের নির্দেশনা মেনে হজ যাত্রীরা প্রাথমিক রেজিষ্ট্রেশন ফি ৩০ হাজার ৭৫২ টাকা এবং চুড়ান্ত রেজিষ্ট্রেশনে ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা জমাও করেছিলেন।
তবে চলতি হজে যেতে না পারলেও এতে উৎকন্ঠার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে হজ এজেন্সীগুলো। তারা বলছে, সৌদি হজ মন্ত্রণালয় চলতি বছরের নিবন্ধিতদের আগামী হজে অগ্রধিকার দিবে। কিন্তু কেউ যদি নিবন্ধন বাতিল করেন পরবর্তীতে তারা এ অগ্রাধিকার সুবিধাটি পাবেন না।
হজ এজেন্সী এ্যাসোনিয়েশন ( হাব) চট্টগ্রাম জোনের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম জয়নিউজকে বলেন, করোনার কারণেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজ যাত্রী যেতে না পারাতে সংকট সৃষ্টি হবে। তাই আগামী বছর এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জনের থেকে বাড়িয়ে ২ লাখের কোটা চাইবো আমরা।
তিনি আরো বলেন, চলতি বছর নিবন্ধিতদের মধ্যে কেউ যদি টাকা ফেরত নিতে চান, তারা তা পারবেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী তার নিবন্ধন যেমন বাতিল হবে তেমনি সৌদি সরকার ঘোষিত আগামীতে হজের অগ্রাধিকার সুবিধাও আর পাবেন না।
এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এজেন্সীর সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়ে তিনি আরো বলেন, নিবন্ধিতদের টাকা ফেরত পেতে কোনো এজেন্সী যদি সহযোগিতা না করেন, তবে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা (হজ এজেন্সী এ্যাসোনিয়েশন) আপনাদের পাশে আছি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর হজে বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন যাওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল। যার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার ১৯৮ জন। কিন্তু বিশ্বজুড়ে করোনা প্রার্দুভাবের কারণে পবিত্র হজপালন নিয়ে অনিশ্চয়তায় কমে যায় গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন। ফলে চলতি বছর ৭২ হাজার ৬০৪ জনের কোটা খালি ছিল।