দেশে করোনা প্রার্দুভাবের পর থেকেই যে কয়েকটি সংগঠন মানবতার ডাকে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ। যেখানে মৃত ব্যক্তির স্বজনরা লাশ দাফনে আসেনি সেখানেই ছুটে গেছে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবকরা। গত ২৩ জুন পর্যন্ত ৩৬০ জনের অধিক লাশ দাফন করেছে সংগঠনটি।
এর পাশাপাশি সংগঠনটির পক্ষ থেকে রোগীদের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছানো ও টেলিমেডিসিন সেবাও দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত।
একদিকে নগরে করোনা রোগী বাড়ছে অন্যদিকে চিকিৎসার জন্য হাহাকার। তাই এবার করোনা রোগীদের জন্য একটি ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ।
বুধবার (২৪ জুন) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গাউসিয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দীন বখতেয়ার এসব তথ্য তুলে ধরেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, মহামারী করোনার প্রার্দুভাবের পর সাধারণ মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে যখন আপনজনের লাশ ফেলে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, করোনায় আক্রান্ত রোগী অক্সিজেন না পেয়ে তীব্র শ্বাসকষ্টে যখন মারা যাচ্ছে তখন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ মানবতার সেবায় বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে।
বর্তমানে গাউসিয়া কমিটি চট্টগ্রামে ৭০০ স্বেচ্ছাসেবক কর্মীসহ সারা দেশে দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।
আইসোলেশন সেন্টার করার ব্যাপারে তিনি বলেন, রাবেয়া-বশর জনকল্যাণ ট্রাস্ট আইসোলেশন সেন্টারের জন্য একটি ভবন দিয়েছেন। আইসোলেশন সেন্টার কার্যক্রম চালু করতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। সকলের সহযোগিতায় আমরা শ্রীঘই আইসোলেশন সেন্টারটি চালু করতে পারবো বলে আশা করছি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আঞ্জুমান এ রহমানিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র সহসভাপতি মুহাম্মদ মহসিন, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, মহাসচিব শাহজাদ ইবনে দিদার, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবুল হক খান, মহানগর সদস্য সচিব ছাদেক হোসেন পাপ্পু, উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ মাস্টার, মিডিয়া সেলের প্রধান অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, সদস্য এরশাদ খতিবী, আহসান হাবিব চৌধুরী হাসান, মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মাহফুজুর রহমান ও শাহাদাত হোসেন রুমেল।
জয়নিউজ/কাউছার/পিডি