দেশে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণের কারণে খেটে-খাওয়া মানুষের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ও যৌন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এ অবস্থায় খাদ্য সঙ্কটের মধ্যে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে চট্টগ্রামের হিজড়া সম্প্রদায়। এমনিতেই কর্মহীন এ গোষ্ঠি, তার উপর সরকারি লকডাউন ঘোষণায় হিজড়ারা যেন এখন কারাগারে বন্দি। তাছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মাঝে ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে না কেউ।
এদিকে, করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগে চট্টগ্রামে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’।
হিজড়াদের খাদ্য সমস্যার কথা বিবেচনায় এনে শুধুমাত্র ‘বন্ধু’ নামক এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটিই ২২১ জন হিজড়া ও যৌন সংখ্যালঘুদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
জার্মান ডক্টরস নামের দাতা সংস্থার আর্থিক সহায়তায়, আইসিডিডিআর, বিএর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ২৮ জুন সকালে চট্টগ্রাম জেলায় বন্ধু’র মুরাদপুর এবং ২৯ জুন হালিশহর ডিআইসি থেকে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে।
এসময় মুরাদপুর ডিআইসি’র ডিআইসি ম্যানেজার মো. বেলাল হোসেন, হালিশহর ডিআইসি’র ডিআইসি ম্যানেজার মো. হারুন অর রশীদ এবং আইসিডিডিআর’বিএর সিনিয়র মনিটরিং অফিসার মারুফ বিন বাশার উপস্থিত ছিলেন।
এসময় এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে বন্ধুর কর্মকর্তারা বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় দরিদ্র-অসহায় কর্মহীন মানুষ ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে ‘বন্ধু’। হিজড়াদের দিকে অবশ্যই সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পৌঁছানো জরুরি। বরাবরই ‘বন্ধু’ তাদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।
উল্লেখ্য, আইসিডিডিআর,বিএর ও বন্ধু বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় এইচআইভি প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।