চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, দৈনন্দিন প্রয়োজনে নগরীতে বসবাসরত ও বহিরাগতদের প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা সম্বলিত আধুনিক গণশৌচাগার স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিচর্যা একটি আবশ্যকীয় উপাদান। এ খাতে সরকার ও চসিকের বরাদ্দের চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন সুসম্পন্ন করে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না এবং কোনো ধরনের অনিয়মও সহ্য করা হবে না।
নগরের কাপ্তাই রাস্তার মাথা এবং ২নং গেটের শেখ ফরিদ মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় চসিকের উদ্যোগে নির্মিত দুটি আধুনিক গণশৌচাগারের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার (১ জুলাই) এসব গণশৌচাগারের উদ্বোধন করা হয়।
চসিক মেয়র বলেন, নির্মিত এ শৌচাগার দুটিতে সুপেয় পানির ব্যবস্থাও থাকবে। এছাড়াও গোসলসহ স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণও সংযোজন থাকছে।
উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, নগরায়নের ফলে গ্রামসহ বিভিন্ন প্রান্তের কর্মমুখি মানুষকে প্রয়োজনের তাগিদে শহরে আসতে হয়। এসময় কর্মমুখি এসব মানুষদের শৌচকর্মের প্রয়োজনে বিভিন্নভাবে বিরূপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষভাবে নারীসমাজ এ ক্ষেত্রে সবচাইতে বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়েন। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে পাবলিক টয়লেট নির্মাণকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর মো. আজম, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, ডিএসকের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আরেফাতুল জান্নাত, রাজনীতিক হাজী বেলাল আহমেদ, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, আনোয়ার মির্জা, হাসান মুরাদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন, নঈম উদ্দিন খান, ডিএসকের প্রকল্প কর্মকর্তা উজ্জ্বল সিকদার ও প্রকৌশলী মাহমুদুল সায়েম।
উল্লেখ, মোহরা এলাকায় গণশৌচাগার নির্মাণে ৫৭ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৪ টাকা ও শেখ ফরিদ মার্কেট এলাকার পাবলিক টয়লেট ও গণ শৌচাগার নির্মাণে ৪১ লাখ ৫ হাজার ৫৫৭ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। গণশৌচাগার দুটিতে নিরাপত্তার জন্য লকার রুম ছাড়াও ৫ টাকার বিনিময়ে টয়লেট, ১০ টাকার বিনিময়ে গোসল, ৫ টাকার বিনিময়ে লকার রুম ব্যবহার এবং ১ টাকার বিনিময়ে সুপেয় নিরাপদ পানি পানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে প্রতিবন্ধী, শিশু, নারী ও পুরুষদের পৃথক পৃথকভাবে টয়লেট ব্যবহারের ব্যবস্থাও রয়েছে।
জয়নিউজ/বিআর