বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল সমন্বয় করতে ব্যর্থ হওয়ায় চারটি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার প্রায় ৩০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল সমন্বয় করতে না পারায় এ সুপারিশ করে বিভাগীয় টাস্কফোর্স।
সুপারিশ অনুযায়ী ৪ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি)। তারা হলেন-আদাবর আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন, একই এলাকায় দায়িত্বে থাকা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রায়হানুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী মো. মজিবুল রহমান ভূঁইয়া ও কম্পিউটার ডেটা এন্ট্রি কো অর্ডিনেটর জেসমিন আহমেদ।
বিতরণ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত শেষে দোষী প্রমাণিত হলে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।
টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী, ডিপিডিসি ৩৬টি আঞ্চলিক এর নির্বাহী প্রকৌশলীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ১৩ মিটার রিডার সুপারভাইজারকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করেছে।
এ বিষয়ে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান চাকমা জানান, মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করে সাত দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কমিটির সুপারিশে অনুযায়ী কিছু ব্যক্তিকে সাময়িক বরখাস্তসহ আরও ৩৬ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিছু মাঠ কর্মীকে বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়েছে। আমরা সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।
এছাড়া ঢাকা উত্তরের বিতরণ সংস্থা ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) দুজন মিটার রিডারকে বরখাস্তের সুপারিশ করেছে। রাজশাহী ও রংপুরের ১৬ জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের দুজন মিটার রিডার বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। আর দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার বিতরণ সংস্থা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ২৩০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শাও, বরখাস্ত সহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে দেশের সব থেকে বড় বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ৮০টি সমিতির কারা কারা ভুতুড়ে বিলের জন্য দায়ী এ ব্যাপারে এখনো কোনো তথ্য দেয়নি। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডও (পিডিবি) থেকেও তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন বিদ্যুৎ বিভাগ একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল।
জয়নিউজ/পিডি