সরকারকে একসঙ্গে তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গত ঈদে মানুষের অবাধ চলাচল, ভিড় ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করোনা সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাই আসন্ন ঈদে এই সমাগম ও ভিড় যেকোনো মূল্যে এড়াতে হবে। নিজেদের বাঁচার স্বার্থেই এটি করতে হবে।
রোববার (৫ জুলাই) সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধ ও অসহায় মানুষের সুরক্ষা, বন্যাকবলিত ১২টি জেলার মানুষের সুরক্ষা এবং আসন্ন ঈদে মানুষের সমাগম তথা ভিড় এড়ানোর তিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকারকে এগোতে হচ্ছে।
মহামারি করোনার কারণে দেশে উন্নয়নকাজে কিছুটা বাধা এলেও ইতোমধ্যে বিভিন্ন চলমান মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি সঞ্চার হয়েছে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, শত প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল রুট-৬, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নমুখী সরকার। জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তায় চলমান উন্নয়নপ্রবাহ ধরে রেখেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সচেষ্ট আছে বর্তমান সরকার। বছরের পর বছর নানান দুর্যোগ মোকাবিলা করেই আজকের উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। সংকটে নেতৃত্ব দিয়ে জনগণের দৃঢ় আস্থার অপর নাম শেখ হাসিনা।
সরকার নাকি কারাগার ভর্তি করে ফেলেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির কোন শীর্ষ নেতা বা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা জেলে গেছেন? ত্রাণ চুরিসহ নানা অপরাধে যাঁরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন, তাঁদের পরিচয়, তাঁরা অপরাধী। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন-আদালত ব্যবস্থা কি নেবে না?
চিহ্নিত অপরাধী ছাড়া বিএনপির উল্লেখযোগ্য কোন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তা মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চেয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিদিন অশ্লীল ভাষায় সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেও সরকার সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছে।