অভিযুক্ত ধর্ষকদের বাঁচাতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতের এক পুলিশের নারী সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদ পশ্চিম মহিলা থানার ইনচার্জ শ্বেতা জাদেজার প্রথম দফায় ২০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়। পরে তদন্তের রিপোর্ট বদল করতে আরো ১৫ লাখ টাকা আদায় করতে অভিযুক্তদের সঙ্গে নাকি দর কষাকষি চলছিল শ্বেতার। কিন্তু পুরো ব্যাপারটি ফাঁস হয়ে যায়। এ ব্যাপারে শুরু হয়েছে তদন্ত।
আহমেদাবাদের একটি বেসরকারি সংস্থার প্রধানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। অভিযুক্তের নাম কেনাল শাহ।
অফিসেরই দুই নারী কর্মচারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। দুই ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ধর্ষণের দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল কেনালের বিরুদ্ধে। একটি মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন শ্বেতা জাদেজা।
শ্বেতার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছর কেনাল শাহের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হলেও তদন্তের কোনো রিপোর্টই দেননি শ্বেতা। কেনালের ভাইয়ের মাধ্যমে তার কাছে অগ্রিম ২০ লাখ টাকা পৌঁছে গিয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তদের পরিবারের সঙ্গে নাকি নিয়মিত যোগাযোগও ছিল শ্বেতার। আরো ১৫ লাখ টাকার জন্য নাকি অভিযুক্তকে চাপ দিচ্ছিলেন শ্বেতা।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, শ্বেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে তিনি মুখ খোলেননি।
জয়নিউজ/পিডি