চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, করোনাকালে অবনতিশীল পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করা একটি কঠিন কাজ। জনস্বার্থ বিবেচনায় লকডাউন জবরদস্তি ও দমনমূলক নয়, এটি সেবামূলক দায়বদ্ধতা।
উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে টানা ২১দিন ব্যাপী লকডাউনের সমাপনী দিনে দোয়া মাহফিল শেষে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সকালে সিটি গেট সংলগ্ন একটি কমিউনিটি সেন্টারে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মেয়র বলেন, উত্তর কাট্টলীতে প্রথমবারের মতো এলাকাভিত্তিক লকডাউনের অর্জিত সফল অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে অন্যান্য এলাকায় প্রয়োগ করা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই ইতিবাচক সুফল বয়ে আনবে।
সিটি মেয়র পরবর্তীতে যেসব এলাকায় লকডাউন হবে সেগুলোর সম্ভাব্য আওতা ও পরিধি বিন্যাস করে বলেন, ওই সময় একটি পুরো এলাকাকে স্থবির না করে শুধুমাত্র ব্যাপকভাবে সংক্রমিত স্থানটি বেছে নিয়ে লকডাউনের আওতায় আনা হলে জীবন রক্ষার পাশাপশি জীবিকা ও অর্থনীতির চাকাকে সচল থাকবে। এর প্রভাবে লকডাউন নিয়ে সাধারণ মানুষের কর্মহীন হয়ে পড়ার ভীতি ও আশঙ্কা দূর হবে এবং লকডাউন চলাকালীন নির্ধারিত স্থানটির অধিবাসীরাও স্বস্তি অনুভব করবেন।
তিনি উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে লকডাউন চলাকালীন অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, এলাকাটি আবাসিক এবং এখানে গার্মেন্টসসহ ছোট-বড় শিল্প ও কলকারখানা রয়েছে। তাই প্রথমদিকে লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তবে দুই-একদিন পর থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবকরা এলাকাবাসীর চাহিদা এবং দৈনন্দিন চাওয়া পাওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সেবা দিতে সচেষ্ট হওয়ার পর একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়।
মেয়র আরো বলেন, লকডাউন চলাকালীন সময়ে এখানে কোনো হতদরিদ্র অভুক্ত ছিলেন না। প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মানুষকে খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী এলাকাবাসীকে চিকিৎসাসেবাও দেওয়া হয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, মহিলা কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, জেলা প্রশাসকের পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো, আলী হাসান, সহকারী পুলিশ কমিশনার মো, আরিফ, পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রাশেদুল হক, আকবরশাহ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলতান আহমদ চৌধুরী, আবু সুফিয়ান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো, ইকবাল চৌধুরী, সহসভাপতি লোকমান আলী, সহসম্পাদক রোকন উদ্দিন চৌধুরী, যুবলীগের আবুল কালাম আবু, মো. হারুনুর রশিদ।