প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অথবা উপসর্গ নিয়ে প্রাণ হারানো সাংবাদিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৩ লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের পরিচালনা পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সাংবাদিক প্রাণঘাতি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রাণও হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাই সরকার করোনায় আক্রান্ত হয়ে অথবা উপসর্গ নিয়ে প্রাণ হারানো সাংবাদিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৩ লাখ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে এ সহায়তা প্রদান করা হবে।
ইতোমধ্যে ৬ জন সাংবাদিকের পরিবারকে এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, প্রাণ হারানো সাংবাদিকরা ছাড়াও করোনার এ পরিস্থিতিতে অসুবিধায় পড়া গণমাধ্যমকর্মীদেরও এককালীন ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এ কাজে সহায়তা করছে প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন ও জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়।
এমন সংকটকালে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমের কল্যাণে দেশের জনগণ ঘরে বসেই করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানতে পারছে। এটি প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কেও জানতে পারছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর গণমাধ্যমকে অনুরোধ করা হয়েছিল তারা যাতে জনগণকে সঠিক তথ্য প্রদান করেন। গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে। এ পরিস্থিতিতেও যাতে তাদের কার্যক্রম চালু রাখে। তারা সে অনুরোধ রেখেছেন। অনেক সংকট ও প্রতিকূলতার মধ্যেও গণমাধ্যম চালু রয়েছে।
সংবাদপত্র ছাপা ও বিক্রি দুটোই কমেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার এ সংকটকালে মন্ত্রণালয়গুলো যাতে সংবাদপত্রের বকেয়া বিলগুলো পরিশোধ করে দেয়, এ জন্য তিনি নিজে মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এতে অনেকটাই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়গুলোকে পুনরায় তাগাদা দেওয়া হবে।