বান্দরবানে প্রতিপক্ষের গুলিতে সংস্কারপন্থী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এমএন লারমা) গ্রুপের শীর্ষ নেতাসহ ৬ জনের হত্যার ঘটনায় এখন পুরো এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
হামলা-পাল্টা হামলার ভয়ে আতঙ্কিত রাজবিলা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষেরাও। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাঘমারা বাজারসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদের এ নিরাপত্তা কাজে মোতায়েন করা হয়েছে। রাজবিলা ও কুহালং পাশ্ববর্তী দুটি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর টহলও।
এদিকে বুধবার (৮ জুলাই) সকালে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। মামলা না হওয়ায় লাশের ময়নাতদন্তের কাজটিও শুরু করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: আধিপত্যের লড়াইয়ে জেএসএস, নিহত ৬
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, হত্যকাণ্ডের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ করছে, তাদের কেউ বাদি হয়ে মামলা করবেন কি-না। নিহতদের পরিবারের কেউই বাদি না হলে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করবে। মামলা গ্রহণের পরই মূলত লাশের ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হবে।
হত্যাকাণ্ডের জন্য মূল জেএসএসকে দায়ী করে জেএসএস সংস্কার গ্রুপের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা জয়নিউজকে বলেন, সাংগঠনিক কাজে বান্দরবান সফরে গিয়ে জেলা সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গার বাড়িতে আশ্রয় নেয় সংগঠনের শীর্ষনেতারা। কিন্তু সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় কেন্দ্রীয় সহসভাপতিসহ ৬ জন নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়। নিহতদের ৫ জনের বাড়ি খাগড়াছড়ি এবং একজনের বাড়ি বান্দরবান। তাই ময়নাতদন্তের পর নিহত ৫ জনকে খাগড়াছড়ি আনা হবে। অন্যজন বান্দরবান পরিববারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সকালে সাড়ে ৬টায় বান্দরবান সদরের রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা বাজার পাড়া এলাকায় প্রতিপক্ষের ব্রাশ ফায়ারে জেএসএস সংস্কার গ্রুপের ৬ জন নেতা নিহত হয়। এ ঘটনায় আরও ৩ জন আহত হয়েছে।