বাংলাদেশ থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটের ১৫১ জন যাত্রীকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি ইতালি। দেশটির রোমের ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে থাকা যাত্রীদের বিমান থেকে নামতে দেওয়া হয়নি।
একদিন আগেই ইতালি সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। এদিকে কাতার এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, এসব যাত্রীদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনবে।
জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এসব ফ্লাইট যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। সর্বশেষ ৬ জুলাই বাংলাদেশ থেকে রোমে যাওয়া একটি ফ্লাইটের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে ইতালি।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি ও বেবিচকের নীতিমালা অনুসরণ করে ১৬ জুন থেকে সীমিত পরিসরে যুক্তরাজ্য ও কাতারে আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল শুরু হয়। বাংলাদেশ থেকে কাতার এয়ারওয়েজ কাতার হয়ে বিভিন্ন দেশে যাত্রীদের নিয়ে যায়। এর মধ্যে ইতালি অন্যতম গন্তব্য।
কাতার এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, ফ্লাইটি ঢাকা থেকে সরাসরি রোমে যায়নি। ঢাকা থেকে কিছু যাত্রী কাতারে ট্রানিজিট হয়ে রোমে গিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট না হওয়ায় তারা বাংলাদেশি যাত্রীদের পরিবহন করেছে।
তবে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীদের ফের ঢাকায় ফিনিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাতার এয়ারওয়েজের স্টেশন ম্যানেজার দেবিন জান্নাত মল্লিক।
তিনি বলেন, আমাদের জানা ছিল না যে বাংলাদেশ থেকে কোনও যাত্রী ইতালি নেওয়া যাবে না। যেহেতু দেশটির নিষেধাজ্ঞা আছে, তাই সেসব যাত্রীদের আমরা ফিরিয়ে আনবো। নিষেধাজ্ঞা যতদিন থাকবে ততদিন আর বাংলাদেশ থেকে ইতালিগামী কোনও যাত্রী নেওয়া হবে না।
এর আগে গত ১৮ জুন বাংলাদেশ থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইট দক্ষিণ কোরিয়ায় যায়। সেই ফ্লাইটের ১১জন যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ কারণে ২৩ জুন থেকে বাংলাদেশিদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা দেওয়া স্থগিত করে দেশটি। এছাড়া, চীন, জাপানও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যাত্রী পাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।