করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বানানোর দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। এমনটাই বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা করোনায় উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের জন্য অক্টোবর নাগাদ সরবরাহ করা হতে পারে অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগস্টের মাসের শেষ নাগাদ অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল জানা যাবে। একটি সফল ট্রায়াল সম্পন্ন করতে পারলেই জরুরিভাবে ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিনটির অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি আন্তর্জাতিকভাবে দ্রুত ও বিস্তৃত আকারে সরবরাহের জন্য সাপ্লাই চেইন তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
জানা গেছে, অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিনের ২০০ কোটি ডোজের অর্ডার এ পর্যন্ত পেয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এক কাপ কফির মতো দাম হতে পারে করোনার ভ্যাকসিনের।
করোনা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কর্মী প্যাস্কাল সোরিয়োট বলেন, ভ্যাকসিনটি একবছরের মতো মানুষকে করোনা থেকে দূরে রাখতে পারবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে আমরা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল পাবো। আমরা ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনটির উৎপাদন শুরু করেছি। অক্টোবর থেকেই আমরা ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবো।
গত এপ্রিলে যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়। জুনে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করা হয়।