অবশেষে অবসান হলো দীর্ঘ প্রতীক্ষার। ই-পাসপোর্টের নবযুগে (ইলেকট্রনিক পাসর্পোট) প্রবেশ করেছে চট্টগ্রাম।
রোববার (১২ জুলাই) এক মুক্তিযোদ্ধার হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরে আরও পাঁচজনের হাতে তুলে দেওয়া হয় ই-পাসপোর্ট।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মো. আবু সাঈদ জয়নিউজকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। চট্টগ্রামে প্রথম ই-পাসপোর্টের আবেদনকারীও একজন মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর নাম জাহেদ আহমেদ। ডবলমরিং থানার এই বাসিন্দাকেই আমরা প্রথম ই-পাসপোর্ট দিয়েছি। এছাড়া শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড কমান্ডের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকীসহ তিন জন এবং গোলাম মোরশেদ কাদেরি ও রাজিব রায়হান নামে আরো দুই নাগরিকের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২৩ মার্চ ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন করা হলেও করোনার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। উদ্বোধনী দিন যে কয়েকজন আবেদন করেছিলেন তাঁদের পাসপোর্টগুলো আজ (রোববার) আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হলো।
এক প্রশ্নের উত্তরে আবু সাঈদ বলেন, করোনার কারণে নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না। তবে ইতোপূর্বে যারা আবেদন করেছেন তাদের ই-পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম চালু রয়েছে। ই-পাসপোর্ট অনেক ভোগান্তি দূর করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ই-পাসপোর্ট কারা পাবেন- জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ পেরিয়ে গেছে কিংবা যারা নতুন করে আবেদন করবেন তারাই পাবেন ই-পাসপোর্ট। তবে ছয় মাসের বেশি মেয়াদ থাকা এমআরপি পাসপোর্টধারীদের ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে না।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ই-পাসপোর্ট চালুর ক্ষেত্রে বিশ্বে ১১৯তম দেশ বাংলাদেশ। ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে এমআরপি ডেটাবেইসে যেসব তথ্য আছে তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। এছাড়া থাকবে চোখের মণির ছবি ও দশ আঙুলের ছাপ।
প্রসঙ্গত, গত ২২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ই-পাসপোর্ট প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন। তখন ঢাকার আবেদনকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ই-পাসপোর্ট। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম বিভাগে শুরু হলো এ কার্যক্রম।
জয়নিউজ