করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৩৯১ জনে। নতুনভাবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ০৯৯ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৪ জন। একইসময়ে ৪ হাজার ৭০৩ জনসহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯৮ হাজার ৩১৭ জন।
সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৩৫৮টি, আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৪২৩টি। এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৯ জন।
পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫২ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৮৯০ জন এবং নারী ৫০১ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন এবং ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, ময়মনসিংহ একজন, রংপুর বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ৭ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৩ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৪ জন এবং বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৭৬৫ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৭ হাজার ৩৭১ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭১৩ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮৯৯ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৩৭ হাজার ২৭০ জনকে।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ২ হাজার ৪০১ জনকে। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৯৬ হাজার ২৫৫ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ৩ হাজার ২৭৩ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬২ হাজার ২১১ জন।
বুলেটিনে বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।