স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারগুলি দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা এ দাবি জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন-ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, নগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান, যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন চট্টগ্রাম শহরে হাজার থেকে দেড় হাজার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গড়ে ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ জন রোগীর চিকিৎসা ও পরামর্শ দিতেন। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চেম্বার বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে হাজার হাজার রোগী অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন। নানাভাবে চেষ্টা করেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ বঞ্চিত হচ্ছেন বহু রোগী। অনেক সংকটাপন্ন রোগী শারীরিক যন্ত্রনা ও কষ্ট নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন।
চেম্বার বন্ধ থাকায় হতাশা প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা যেহেতু স্বাস্থ্যগত সংকট, সেকারনে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী এখানে মূখ্য ভূমিকায় অবর্তীন হবার কথা। কিন্তু সুরক্ষা সামগ্রীর অজুহাতে অনেকেই রোগী দেখা বন্ধ রেখেছেন। অথচ যুদ্ধের ময়দানেও চিকিৎসকরা আহত সৈনিকের চিকিৎসা সেবা দিয়ে জীবন বাঁচান। বাংলাদেশের করোনা মহামারী সংকটে কিছু কিছু চিকিৎসকের বিপরীতধর্মী ভূমিকায় জাতি হতাশ। তবে মহামারী সংকটে চট্টগ্রামে আশার আলো জ্বালিয়ে উদাহারণ তৈরী করেছেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, ফৌজদারহাটের ডাক্তার বিদ্যুৎ বড়ুয়ার ফিল্ড হাসপাতাল। করোনা চিকিৎসায় অনন্য ভূমিকা রেখে ইতোমধ্যেই দেশব্যাপী বেশ নন্দিত হয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রশাসন ও বিএমএ নেতৃবৃন্দ জনস্বার্থ ও মানবিক বিবেচনায় দ্রুত প্রাইভেট চেম্বার খোলার বিষয়ে আন্তরিক হবেন। এতে করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সেবা দিলে সাধারণ রোগীদের কষ্ট লাঘব হবে। এসময় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারগুলি খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
জয়নিউজ/পিডি