আমি সবচেয়ে বড় গরুটির নাম দিয়েছি লাল বাহাদুর। তাকে আমি আমার সন্তানের মত লালন-পালন করেছি। এবারের ঈদে আমার লাল বাহাদুর সাতকানিয়ায় বাজার কাঁপাবে বলে মন্তব্য করেছেন সাতকানিয়ার ঢেমশার খামার মালিক মো. জামাল হোসেন।
সরেজমিনে খামার ঘুরে দেখা যায়, ঢেমশা চৌমুহনীর শেষ প্রান্তে বিশাল জায়গায় গড়ে উঠেছে তার খামার। পরিচ্ছন্ন পরিবেশে গরু-গয়াল লালন পালন চলছে। এছাড়া খামার জুড়ে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফলদ বাগান। সঙ্গে রয়েছে উন্নত ঘাস আবাদের জমি। জমিতে শোভা পাচ্ছে উন্নতজাতের ঘাস।
খামার সম্পর্কে খামারী জামাল হোসেন জয়নিউজকে বলেন, কোরবানীর ঈদে পশুর চাহিদা মেটাতে তার খামারে বেশ কয়েকটি গরু ও গয়াল প্রস্তুত করা হয়েছে। খামারে সর্বনিম্ন দেড় লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা মূল্যের গরু রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তার খামারে গরু-গয়াল মোটাতাজাকরণে কোনো ওষুধ, ইনজেকশন বা হরমন জাতীয় কিছু ব্যবহার করা হয়নি। খড়, ঘাস, খৈল, চালের কুড়া ও ভূষি খাইয়ে গরু মোটাতাজা করছেন। সম্পূর্ণ দেশিয় পদ্ধতি ও প্রাকৃতিক উপায়ে গরু-গয়াল মোটা তাজা করা হয়েছে। এতে খরচ বাড়লেও ক্রেতারা স্বাস্থ্যসম্মত গরু-গয়াল কিনতে কার্পণ্য করছেন না। তারা বেশী দাম দিয়েই কিনছেন পশু। পশুর রোগ বালাইয়ের চিকিৎসায় জন্য নিয়মিত দেখাশোনা করছেন সাতকানিয়া উপজেলা পশু ডাক্তার। কোরবানির হাট ধরতে দিন-রাত কাজ করে চলেছেন তিনি ও তার কর্মীবাহিনী।
সাতকানিয়া প্রাণী সম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, উপজেলা নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলিয়ে ৭৩টি খামার রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি রয়েছে বড় খামার। উপজেলায় এ বছর কোরবানীর জন্য ৩৭ হাজারেরও অধিক গরু খামারী ও গৃহস্থ পরিবারে প্রস্তুত রয়েছে। এসব গরু মোটাতাজাকরণে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করা হচ্ছে। ক্রেতা সাধারণের মধ্যে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করা হৃষ্টপুষ্ট গরুর চাহিদা থাকায় খামারীরা এই পদ্ধতি অনুসরন করছেন। প্রাণী সম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকেও নিয়মিত পরামর্শ ও তদারকি করা হচ্ছে। এতে করে গোটা উপজেলার খামারীরা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পশু মোটাতাজা করেছেন। এ ক্ষেত্রে দেশী ও শংকর জাতের গরু সর্বাধিক।