চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের হামলা এবং উল্টো চমেকসু নেতৃবৃন্দ ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)- চট্টগ্রাম শাখা। একইসঙ্গে অনতিবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানায় তারা।
বুধবার (১৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিএমএ- চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়সল ইকবাল চৌধুরীকেও মিথ্যা মামলায় আসামি করার হীন প্রয়াস চালায় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা। তবে ঘটনার দিন তিনি ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করায় তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
চট্টগ্রাম বিএমএর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. রবিউল করিম স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানাতে চাই, ডা. মো. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী ও সাধারণ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ষড়যন্ত্র ও তাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার এহেন অপচেষ্টা অচিরেই বন্ধ করা হোক। অন্যথায় বিএমএ- চট্টগ্রাম শাখার নেতৃত্বে স্থানীয় চিকিৎসক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুলাই সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সদ্য পাস করা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শপথ গ্রহণ ও যোগদানের অনুষ্ঠান ছিল। এতে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান। ওই দিন সকালবেলা জানা যায়, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চমেক হাসপাতালে দুইটি হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা প্রদান করতে আসবেন। মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পূর্বনির্ধারিত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনুষ্ঠান পিছিয়ে দুপুর ১২টায় করা হয়।
মন্ত্রী তাঁর সময় অনুযায়ী হাসপাতালে আসেন। এ সময় চমেক হাসপাতালের পরিচালক ও চমেক ছাত্র সংসদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁরা মন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মন্ত্রী হাসপাতাল চত্বর ত্যাগ করার পরপরই একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী অতর্কিতে উপস্থিত চিকিৎসক, ইন্টার্ন চিকিৎসক ও চমেকসু নেতৃবৃন্দের উপর হামলা চালায় এবং তাদের লাঞ্ছিত করে। এতে কয়েকজন চিকিৎসক ও চমেকসু সদস্য আহত হন।
পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে করার জন্যে বহিরাগতরা পরবর্তীতে পাঁচলাইশ থানায় একাধিক চিকিৎসক ও চমেকসু নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যে মামলা দায়ের করেন, যা হাস্যকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও চিকিৎসক সমাজের একতা বিনষ্টের একটি হীনঅপচেষ্টা।