চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৫২২ জনের নমুনায় আরও ৩৯৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩১৩ জন নগরের ও ৮৬ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ২৬৮ জনেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে ঢাকার ল্যাবে; জট থাকায় এসব নমুনা অনেক আগে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল বলে জয়নিউজকে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৩৩০ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নগরে ২ ও উপজেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২০ জন। একইসময়ে ৫৭ জনসহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৮৭ জন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে নগরের ২৮ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ১৩ জন।
বিআইটিআইডিতে ১৪০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৫ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২১ জন নগরের ও ৪ জন উপজেলার বাসিন্দা। বিআইটিআইডি থেকে আগে ঢাকায় পাঠানো ৪৩৭টি নমুনায় ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫ জন নগরের ও ৩২ জন উপজেলার।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ জনের করোনা মিলেছে; এর মধ্যে ১৪ জন নগরের ও ৯ জন উপজেলার বাসিন্দা। চমেক ল্যাব থেকে আগে ঢাকায় পাঠানো ১ হাজার ৩১৪টি নমুনায় ২৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২১৬ জন নগরের ও ১৫ জন উপজেলার।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ৬ জনের দেহে করোনার জীবাণু মিলেছে। এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে চট্টগ্রামের ২৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬ জনের দেহে করোনা মিলেছে। আক্রান্তদের মধ্যে নগরের ২৩ জন ও উপজেলার ১৩ জন আছেন। এদিকে বুধবার শেভরণ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পায়নি সিভিল সার্জন কার্যালয়।
উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সাতকানিয়ার ২, বাঁশখালীর ২, আনোয়ারার ১২, চন্দনাইশের ৪, পটিয়ার ১৫, বোয়ালখালীর ৪, রাঙ্গুনিয়ার ৪, রাউজানের ১২, ফটিকছড়ির ৬, হাটহাজারীর ১৫, মিরসরাইয়ের ২, সন্দ্বীপের ২ ও সীতাকুণ্ডের ৬ জন রয়েছেন।