চকরিয়া পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিমের (৩৫) ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় চাচা রেজাউলকে বাঁচাতে গেলে ধারালো কিরিচের কোপে গুরুতর আহত হয় ভাইপো সাইদুল হক মিঠুও (২৫)।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) জুমার নামাজের পর পরই ওয়ার্ডের হালকাকারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আহত কাউন্সিলর রেজাউলকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। তবে আহত ভাইপো মিঠুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে অতর্কিত হামলার ঘটনার পরপরই ক্ষুব্ধ জনতা কফিল উদ্দিন বাহাদুর নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। কফিল বিএনপির সহযোগী সংগঠন শ্রমিক দলের একই ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল নেতা বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তিনি হালকাকারা গ্রামের মো. বাদশা প্রকাশ টেক বাদশার ছেলে।
এদিকে কাউন্সিলর রেজাউল করিমের ওপর সশস্ত্র হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাফর আলম, পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী ও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
সাংসদ জাফর আলম বলেন, কাউন্সিলর রেজাউলের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে অ্যাম্বুলেন্স করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।
ওসি হাবিবুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, কাউন্সিলর রেজাউল করিমের ওপর হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া শ্রমিক দল নেতা কফিল উদ্দিন বাহাদুরকে স্থানীয় জনতার সহায়তায় আটক করা হয়েছে। আরো যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকেও আটকের চেষ্টা চলছে।
পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে দুই নম্বর ওয়ার্ডেও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। সেই কাজ উপস্থিত থেকে দেখভাল করছিলেন কাউন্সিলর রেজাউল। কিন্তু সেই উন্নয়ন কাজে বাঁধা দেন শ্রমিক দল নেতা সন্ত্রাসী কফিলের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত। এতে কাউন্সিলর রেজাউলের ডান হাত অনেকটা বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আহত হয়েছে তার ভাইপো মিঠুও।