করোনাকালে বদলে গেছে সবকিছু। বদলে গেছে কোরবানের গরুর হাটও। ঈদ দরজায় কড়া নাড়লেও প্রতিবছরের মতো নেই ব্যস্ততা। এ বছর কিছু ক্রেতা সরাসরি খামার থেকে গরু কেনায় আগ্রহী। আবার কিছু ক্রেতা আগ্রহী অনলাইনে কিনতে। এ অবস্থায় হাটে গরু বিক্রি কেমন হবে— তা নিয়ে বেশ টেনশনে রয়েছেন ব্যাপারীরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গতবছর কোরবানিতে সাত লাখেরও বেশি পশুর চাহিদা ছিল। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে অনেকেরই আর্থিক অবস্থা নাজুক। তাই বিক্রি কেমন হবে তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
তবে শঙ্কা থাকলেও থেমে নেই হাটে পশু আসা। শনিবার (১৮ জুলাই) নগরের সবচেয়ে বড় সাগরিকা সিডিএ পশুর হাট গিয়ে দেখা যায়, ট্রাকে ট্রাকে আসছে কোরবানির প্রধান পশু গরু। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাপারীরা গরু নিয়ে এখানে আসছেন।
হাটেই কথা হয় কয়েকজন ব্যাপারীর সঙ্গে। ব্যাপারী ভিন্ন ভিন্ন হলের তাদের সবার কথা ছিল অভিন্ন। তারা জানান, তারা বিভিন্ন জায়গার খামারিদের কাছ থেকে গরু সংগ্রহ করে হাটে নিয়ে এনেছেন। খরচও হয়েছে বরাবরের মতো। কিন্তু এবার করোনার কারণে গরুর চাহিদাটা বরাবরের মতো হবে কি-না তা নিয়ে তারা টেনশনে আছেন। এ অবস্থায় পুঁজি তুলে লাভের মুখ দেখতে পারবেন কি-না তা নিয়ে তারা শঙ্কিত।