নগরের বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া এক রোগীর পরিবারকে বড় অংকের ভুতুরে বিল ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত ৪ জুলাই নিউমনিয়া নিয়ে নগরের বেসরকারি পার্কভিউ হসপিটালে ভর্তি হন ৪৬ বছর বয়সী মো. সেলিম নামের এক আমেরিকান প্রবাসী।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) ১৩ দিন করোনার সঙ্গে যুদ্ধে করে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। তবে পার্কভিউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার পরিবারের কাছে ১৩ দিনের বিল ধরিয়ে দেয় ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৫১৯ টাকা। ১৩ দিনেই এত টাকার বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ ওই প্রবাসীর পরিবারের। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে যায়।
মো. সেলিম ফটিকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুইদিন পর করোনা পজেটিভ আসে তাঁর।
ওই প্রবাসীর খালাতো ভাই মো. রেজাউল করিম মিঠুন জয়নিউজকে জানান, আমার খালাতো ভাই সেলিমকে গত ৪ জুলাই পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করায়। ১৭ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যায়। ওই রাতে পার্কভিউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বড় অংকের একটি অস্বাভাবিক বিল ধরিয়ে দেয়। ১৩ দিনে বিল ৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা বিল দেখে আমরা হতবাক।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিলে মেডিসিন ও ইনজেকশন বাবদ ১ লাখ টাকা বিল করেছে হাসপাতালটি। কিন্তু আমরা সব মেডিসিন ও ইনজেকশন বাহির থেকে কিনে দিয়েছি। তবুও হাসপাতালটি বিল করেছে। তাহলে আমাদের দিয়ে কেন মেডিসিন ও ইনজেকশন কিনিয়েছেন?
এছাড়া কনসালটেন্ট বিল বাবদ ২৮ হাজার টাকা বিল করা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে তাদের নিজস্ব ডাক্তার না থাকলে কেন রোগী ভর্তি করালেন।
১৩ দিন অক্সিজেন বিল করেছে দুইবার। একবার ৭৭ হাজার টাকা। আবার ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার বিল দিয়েছে। এতো অক্সিজেন বিল কিভাবে আসে? এছাড়াও সার্ভিজ চার্জের নামে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৫৩ টাকা বিল করা হয়েছে।
রেজাউল করিম বলেন, অস্বাভাবিক বিল কমাতে অনুরোধ করলে হাসপাতালের কর্মকর্তারা খারাপ আচরণ করা শুরু করে। বিল পরিশোধ ছাড়া লাশ হস্তান্তর করবে না বলেও তারা জানায়।
পরে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি জাহেদুল আলম মাসুদ ভাইয়ের সহায়তায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিল পরিশোধ করে আমরা ভাইয়ের লাশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হুমায়ুন কবির জয়নিউজকে বলেন, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা বকেয়া টাকা না দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়াছে।