এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশ ছেড়ে ব্যাংকক যাওয়া সিকদার গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।
বরং বিদেশ থেকে জামিন আবেদন করে আদালতের সময় নষ্ট করার কারণে দুই ভাইকে ১০ হাজার পিপিই জরিমানা করেছেন আদালত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে এই পিপিই দিতে হবে।
সোমবার (২০ জুলাই) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ভার্চুয়াল হাইকোর্টে এটাই প্রথম আগাম জামিন আবেদন।
আদালতে সিকদার গ্রুপের দুই ভাইয়ের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার, ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমদ। এর আগে রোববার (১৯ জুলাই) দুই ভাই ব্যাংকক থেকে জামিন আবেদন করেন।
রোববার রাতে সিকদার গ্রুপের দুই ভাইয়ের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা জানান, সিকদার গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদার দেশে ফিরতে চান। এ কারণে জামিন আবেদন করা হয়েছে। যেন তারা নির্বিঘ্নে দেশে আসতে পারেন। তাদেরকে দেশে আসতে যেন কোনো বাধা না দেওয়া হয়। আবেদনে আমরা তা চেয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা জানান, ভার্চুয়াল আদালত সংক্রান্ত আইনে দেশের বাইরে থেকে জামিন আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।
গত ১৯ মে সিকদার গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, গত ৭ মে রন ও দিপু এক্সিম ব্যাংকের এমডি মুহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসনেকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে বন্দি করে রাখা হয়। তাদেরকে গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়।
এক্সিম ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নির্যাতন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, পরে সাদা কাগজে সই নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সিকদার গ্রুপ ব্যাংকটির কাছে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব দিলে এর বিপরীতে গ্রুপের বন্ধকি সম্পত্তি পরিদর্শনে যান ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা। সেসময় এ ঘটনা ঘটে।
এরপর ২৫ মে মামলার তদন্তকালীন সময়েই নিজেদের ‘অসুস্থ’ দেখিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাইল্যান্ডে পাড়ি দেন এই দুই ভাই।