অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন মানবদেহের জন্য নিরাপদ। কোভিড-১৯ রোগীর দেহে এই ভ্যাকসিন রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সক্ষম। সোমবার (২০ জুলাই) আন্তর্জাতিক মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটে ভ্যাকসিনটির প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রায় ১ হাজার ০৭৭ স্বেচ্ছাসেবীর ওপর পরিচালিত এই ভ্যাকসিনের ফলাফলে দেখা গেছে, এটি শরীরে অ্যান্টিবডি এবং টি-সেল তৈরি করে, যা শরীরের ভেতর করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
এছাড়া এই ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগে গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। গবেষকরা জানিয়েছেন, রোগীদের মধ্যে কেবল মাথাব্যাথা এবং জ্বরের মতো সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। সেই হিসেবে এই ভ্যাকসিন নিরাপদও।
গবেষণা দলের প্রধান অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অ্যান্ড্রিউ পোলার্ড বলেন, আমরা এই ভ্যাকসিনের একটি এবং দুটি ডোজ ব্যবহার করেছি। দেখে মনে হচ্ছে উভয়ই করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রদান করতে পারে। যদিও দুটি ডোজে শক্তিশালী প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আমরা আশা করছি, এই ফলাফলের অর্থ হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটিকে চিহ্নিত করতে পারবে এবং আমাদের ভ্যাকসিন মানুষকে দীর্ঘসময়ের জন্য সুরক্ষা দেবে।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন গবেষণার নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট বলেন, আমাদের ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ ফল পেতে এবং মানবদেহে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আরও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে। কিন্তু প্রথম ধাপের পরীক্ষার ফল আশাব্যঞ্জক।