বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ওয়েবসাইট ও অ্যাপসের মাধ্যমে উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদের অনলাইন জুয়ায় সম্পৃক্ত করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। এ চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) শ্যামল কুমার নাথ।
গ্রেপ্তার প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্য হলো- মো. শাখাওয়াত হোসেন প্রকাশ শাওন (২০), মো. মনির হোসেন (৪০), মো. আরিফ উদ্দীন (৪০), ফয়সাল খান (৩২) ও মো. জাবেদ মিয়া (৪০)। তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেট কার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত পোর্ট মডেম, ব্যাংকের চেক ও নগদ ২ লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, বাইনানিডটকম, বাইনানিটুয়েন্টিফোরডটকম নামে ওয়েবসাইট এবং বাইনানিস, প্রোফি আইকিউ, বাইনানি গো এপস ব্যবহারের মাধ্যমে উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীদের অনলাইন জুয়া খেলায় আকৃষ্ট করে বিকাশ/রকেট/নগদ নম্বর ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নিতো তারা।
অতিরিক্ত কমিশনার শ্যামল কুমার নাথ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে খুলশী থানাধীন জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকায় অনলাইন জুয়া প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত চার মাস ধরে তারা নগরের বিভিন্ন এলাকায় উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদের টার্গেট করে জুয়ায় সম্পৃক্ত করছে।
‘পরে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ, রকেট ও নগদের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়। এসব টাকা ডলারে কনভার্ট করে ইউক্রেনে এক ব্যক্তির কাছে পাচার করে আসছে চক্রটি।’
তিনি বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। সিআইডি মামলাটি তদন্ত করবে।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ডিবি-উত্তর) আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, অনলাইন জুয়া চক্রটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ওয়েবসাইট ও অ্যাপসের মাধ্যমে উঠতি বয়সী তরুণীদের অনলাইন জুয়ায় সম্পৃক্ত করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়। নগরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতারক চক্রটি সক্রিয় হয়েছে। আমরা নজরদারি করছি। এ সময় তিনি তরুণ-তরুণীদের এসব প্রতারণার ফাঁদে পা না দিতে অনুরোধ জানান।